ই-কমার্সে প্রতিযোগিতার জায়গা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। এ বাজারে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো।
মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে ই-কমার্সের শীর্ষ উদ্যোক্তারা এ দাবি করেন।
‘করোনাকালে ই-কমার্স এবং ভোক্তা অধিকার: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ' শীর্ষক ওয়েবিনারে তারা বলেন, ই-কমার্সের পরিধি এখন বৈশ্বিক হওয়ায় বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির এ দেশে ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে আশঙ্কা বেড়েছে দেশীয় উদ্যোক্তাদের। এ বিষয়ে তারা সরকারের দায়িত্বশীল নজরদারির আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সম্প্রতি টিসিবি অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করছে, এতে ভোগান্তি কমানো সম্ভব হয়েছে।
‘এভাবে বিভিন্নক্ষেত্রে বাংলাদেশে ই-কমার্সের ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বাড়লেও বেশকিছু প্রতরণার উদাহরণও আছে। এ বিষয়ে সচেতন না হলে দেশে ক্রমর্বধমান ই-কমার্সের সুফল পাওয়া যাবে না।’
তিনি জানান, এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল থেকে একটি পরার্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা ব্যবসার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
অভিযোগ সেল গঠন, ঋণপ্রাপ্তিতে সহায়তা, ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা ও ঝুঁকি চিহ্নিত করে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা, লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও লজিস্টিক সাপোর্টের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান সচিব।’
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান ই-কমার্স খাতে বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তার যথাযথ সমাধান করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমের ব্যবসায়ীদের স্বল্পমূল্যে নিবন্ধনের আওতায় এনে যথাযথ নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এটা করা গেলে ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করা যাবে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির তার উপস্থাপনায় জানান, ই-কমার্সে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি ওষুধী পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। এ খাতের মোট উদ্যোক্তাদের মধ্যে মাত্র ৭-৮ শতাংশ তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সাফল্য পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, পাঠাও লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও সিএফও ফাহিম আহমেদ, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা জাবিন।
বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন প্রধান অতিথি ও কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেস ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।