কোভিডের কারণে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের যুব সমাজ। এক জরিপে ৯৬ শতাংশ যুবক বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তারা। এর মধ্যে ৫৯ ভাগ জানান, তাদের মানসিক চাপ প্রকট। গ্রামের তুলনায় শহরের যুবকেরা বেশি চাপে আছেন।
যুব সমাজের ওপর কোভিডের প্রভাব নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির করা এক জরিপে এসব কথা উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ যুবক বলেছে, করোনার কারণে তাদের আয় কমে গেছে। মাত্র ১২ শতাংশ বলেছে আয় বেড়েছে।
রোববার এক ভার্চুয়াল সংলাপে জরিপটি উপস্থাপন করা হয়। অনলাইেন নেয়া এ জরিপে ১ হাজার ১৬৩ জন যুবক অংশ নেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এ সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি ।
গত ১৮ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রাম ও শহরে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপ প্রকাশ উপলক্ষে সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি। অর্থনীতিবদ, গবেষক, উদ্যোত্তা ও উন্নয়ন কর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন।
এতে বলা হয়, কোভিডের কারণে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক যুবক চাকরি হারিয়েছেন। আয় কমেছে অনেকের।
এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রণোদনা দিতে হবে যুবকদের। এ জন্য যুবসহায়ক নীতি এবং আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান তারা।
যুব উন্নয়নে আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন সিপিডির সম্মাণীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
সিডিপির অপর সম্মাণীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যুব কর্মসংস্থানের জন্য বাস্তবমুখী কার্যক্রম নিতে হবে। প্রণোদনা প্যাকেজে যুবাদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেন তিনি।
কোভিডের কারণে যুবকদের শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় জরিপে। এতে বলা হয়, ২৮ শতাংশ যুবক শিক্ষাজীবন ত্যাগ করেছে আর্থিক সংকটের কারণে।
অনলাইনে যাদের শিক্ষা চলছে, তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ মনে করেন, অনলাইন শিক্ষা পর্যাপ্ত নয়।
জরিপে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ বলেছেন, কোভিডকালে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাননি। এনজিও সহায়তার ক্ষেত্রেও প্রায় একই চিত্র পাওয়া গেছে। তবে বেশির ভাগ যুবক বলেন, তাদের অন্ততপক্ষে মাসিক ৫ হাজার টাকা করে বেকারভাতা দেয়া উচিত।