বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরাতে চুক্তির চেষ্টা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১ নভেম্বর, ২০২০ ১৪:৩১

দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ।

বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে ‘ইন ট্যাক্সেশন এগ্রিমেন্ট’ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।

দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ।

অর্থ ফেরত আনতে দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় চুক্তি হতে পারে। এ জন্য সম্প্রতি একটি উচ্চ ক্ষমতার কমিটি করেছে সরকার।

কমিটির প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে ওয়ার্কিং কমিটি সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এম আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি অনলাইন বৈঠকে বিএফআইইউয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।

কমিটির সূত্র জানায়, পৃথক কর ফাঁকির মামলা পর্যালোচনা করে ও ট্যাক্স হ্যাভেন (ট্যাক্সের হার খুব কম) দেশগুলোর সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদানের নীতিমালা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যকর উপায়ের মাধ্যমে কালো টাকা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিএফআইইউ এই দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।

বৈঠকে বিদেশি ব্যাংকগুলোতে কী পরিমাণ কালো টাকা জমা রাখা হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য একটি ডেটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে টাকা ফিরিয়ে আনার প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত ও ভবিষ্যতে অর্থ পাচার রোধে উচ্চ ক্ষমতার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে কার্যনির্বাহী কমিটি বিদেশি দেশগুলোকে অর্থ প্রক্রিয়ার উৎস সম্পর্কে বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য চাইতে পারে এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানানো হয়।

কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সক্ষমতা ও সহযোগিতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।

কমিটি ট্যাক্স না দেয়া ও বিদেশে কালো টাকা থাকা লোকদের সম্পদ পুনরুদ্ধার ও কর পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ দেয়।

মার্চ মাসে প্রকাশিত গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে মূল্য ঘোষণার গরমিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৬৩ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা (৭.৫৩ বিলিয়ন ডলার) পাচার হয়েছে।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ২.৩৮ শতাংশ কম।

২০১৮ সাল শেষে এ সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা।

সূত্র: ইউএনবি

এ বিভাগের আরো খবর