অনলাইন খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুড পান্ডার বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি দল ফুড পান্ডার গুলশান-২ কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তিন কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এরপর হয় মামলা।
তবে ফুড পান্ডা এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেয়নি।
এনবিআরের ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মইনুল খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফুড পান্ডা অনলাইন ভিত্তিক দেশের বৃহৎ খাবার সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান। এটি প্রায় পাঁচ হাজার দোকান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়।
এসব দোকানের মালিকের সঙ্গে ফুড পান্ডার চুক্তি রয়েছে। খাদ্য সরবরাহের বিনিময়ে কমিশন পায়।
মইনুল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তারা যে পরিমাণ লেনেদন করে, রিটার্নে তা দেখায়নি।
ডিজি জানান, কাগজের নথিপত্র, কম্পিউটারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ফুড পান্ডা পণ্য বিক্রি বাবদ ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রায় ৫৭ লাখ টাকা এবং উৎস কর বাবদ ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি।
যথা সময়ে এই ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় জরিমানা হিসেবে আরও এক কোটি পাঁচ লাখ ৪০ হাজার প্রযোজ্য। ফলে প্রতিষ্ঠানটি মোট তিন কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।