মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক হিসাবের মধ্যে যোগসূত্র ঘটানোর চেষ্টা এখনও সফল হয়নি। এর কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কারিগরি কাজ শেষ করা যায়নি। কিছু জায়গায় এখনও ত্রুটি রয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার থেকেই এই সুবিধা গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না।
তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সেবা চালু করা যাবে বলে আশা করছেন তারা।
মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে আন্তঃলেনদেন চালু করতে নিষেধ করে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, আন্তঃলেনদেন চালুর প্রক্রিয়াটি আরেকবার পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। এই পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব ও ব্যাংকের হিসাবের মধ্যে লেনদেন শুরু করা সম্ভব হবে না।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে জানায়, যেসব ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেন পরীক্ষামূলকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এখন কেবল তারাই এই সেবা দিতে পারবে। বাকিদেরকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে অবশ্যই এই সেবা চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই সার্কুলারে।
ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চারটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান এই সেবা চালুর জন্য প্রস্তুত ছিল। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট। এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক হিসাব থেকে আরেক হিসাবে টাকা পাঠানোর সেবা মঙ্গলবার থেকে চালুর কথা ছিল।
তা ছাড়া পূবালী ব্যাংকের হিসাব থেকে এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার হিসাবধারীদের সঙ্গে লেনদেন করার জন্যও ব্যাংকটি প্রস্তুত ছিল।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযুক্তি ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তঃলেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, সব মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে না। এ কারণে সবগুলো মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে এই সেবায় যুক্ত করতে হলে একই ধরনের প্রযুক্তি থাকতে হবে।