বিদেশে বসে দেশের পুঁজিবাজারে যাতে সহজে লেনদেন করা যায়, সেজন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আউটলেট খোলার বিষয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এ ধরনের আউটলেট খোলার বিষয়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন নিয়ন্ত্রণ আইনে কোনো বাধা বা জটিলতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এ সহযোগিতা চান বিএসইসি চেয়ারম্যান। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে প্রবাসীদের লেনদেনে কোনো বাধা নেই। তবে এজন্য অনেক ক্ষেত্রে তাদের দেশে আসতে হয়। ফলে বাংলাদেশের বাইরে বসে পুঁজিবাজারে লেনদেন করা কঠিন হয়ে পড়ে।
বিএসইসি চাইছে প্রবাসীরা যেন বিদেশে বসেই পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে রেমিট্যান্সের অর্থ বিনিয়োগে আসবে।
বৈঠকে পুঁজিবাজারের জন্য এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিলো না। বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনার এসেছিলেন গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে। তারা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের ইক্যুয়িটি ঋণাত্মক হয়ে গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করেন তারা। এজন্য দশ হাজার কোটি টাকার তারল্য প্রয়োজন বলে জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির কাতারে চলে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে রেগুলেটরি সিন্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছেন শিবলী রুবাইয়াত।
তারল্য সহযোগিতার প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ড বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরো জোরাল ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানায়।