মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকির অভিযোগ উঠার পর বেকারি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারি প্রতিষ্ঠান ‘মি বেকার’ ব্যাংক হিসাব তলব করেছে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জব্দ করা কাগজপত্র ও ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত দলিলের ভিত্তিতে ‘গভীর তদন্ত’ করা হবে এবং আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি হিসাবপত্র ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করছে। বিক্রির তথ্য গোপন করে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।
মিস্টার বেকারের টঙ্গী ও গাজীপুরে কারখানা আছে্। এক গ্রাহককে ভ্যাট না দেয়ার পর তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে গোয়েন্দা দল ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির ‘প্রমাণ’ পায়। অধিক তদন্ত করলে আরও ফাঁকি পাওয়া যাবে বলে মনে করছে এনবিআর।
ভ্যাট আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্রয়-বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। অভিযান চলাকালে, এসব নথি পাননি গোয়েন্দারা।
রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির পেস্ট্রি শপের ২৯টি ও সুইটমিটের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের অফিসের ঠিকানায় তাদের কারখানাও অবস্থিত।
গোয়েন্দা কমকর্তারা জানান, অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা গত ১৮ অক্টোবর ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে ‘মি বেকার’-এর বিক্রয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাট চালান না দেয়ার অভিযোগ করেন।
তিনি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে প্রতিকার চেয়ে বলেন, ‘ভোক্তারা ভ্যাট দিলেও তা সরকার পাচ্ছে না।’
এই অভিযোগের পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
ভ্যাট গোয়েন্দা দলের মনে হয়েছে, নিজস্ব মনগড়া হিসাবের ভিত্তিতে মি. বেকার স্থানীয় ভ্যাট সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করে আসছে। ভোক্তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে যথাযথভাবে জমা দেয়নি।