মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক সেবার মধ্যে আন্তঃলেনদেন চালু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার থেকে।
এর ফলে ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে বা মোবাইল ব্যাংকিং থেকে যে কোনো ব্যাংকের হিসাবে টাকা পাঠানো যাবে।
এক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে অন্য ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবেও লেনদেন করা যাবে।
ব্যাংক থেকে মোবাইল ব্যাংকে বা মোবাইল ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে সাড়ে চার টাকা।
আর এক মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে অন্য অপারেটরের হিসাবে টাকা পাঠাতে খরচ হবে হাজারে আট টাকা।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো গ্রাহক ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রকেট থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের গ্রাহককে টাকা পাঠায়, তাহলে মোট লেনদেনের ওপর বিকাশ প্রতি হাজারে আট টাকা করে রকেটকে ফি দেবে।
বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আপাতত যেসব ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান আন্তঃলেনদেন প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে শেষ করেছে তারাই এই সেবা চালু করতে পারবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পরিধি বাড়ছে
যেসব ব্যাংক ও এমএফএস এখনও আন্তঃলেনদেন সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি, তাদেরকে এই সেবা চালু করতে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতদিন হাতে গোনা দুই একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি ছিল। তবে ব্যাংক থেকে কেবল মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা পাঠানো যেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে এই দুই ধরনের সেবার মধ্যে সংযোগ ঘটাতে আলাদা কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
আন্তঃলেনদেনের খরচের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আন্তলেনদেনের জন্য ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যমান লেনদেন ফি-এর অতিরিক্ত মাশুল আদায় করতে পারে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত দেশে ৫৯টি ব্যাংকে ১১ কোটি ১৬ লাখ আমানত হিসাব রয়েছে।
গত আগস্ট পর্যন্ত ১৫টি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে চার কোটি হিসাব সক্রিয় ছিল।
এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ। ডাচ বাংলার রকেট, ডাক বিভাগের নগদ, ইসলামী ব্যাংকের এম ক্যাশ, মার্কেন্টাইলের মাই ক্যাশ, ইউসিবিএল এর ইউ ক্যাশও বাজারে বেশ পরিচিত
বাংলাদেশ বাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্তুঃলেনদেন সেবা চালুর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপকার হবে বেশি। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পণ্যের মূল্য সংগ্রহে আগ্রহী হবে। কেননা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব থেকে টাকা তোলার খরচ তুলনামূলক বেশি। এখন তারা টাকা না তুলে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা করতে পারবে।’