পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক মুনাফা করেছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা মুনাফা করেছে তারা। তবে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফায় ফেরার খবরে বুধবার পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটির শেয়ারের দর প্রায় ৯ শতাংশ বাড়ে। একদিনে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়ার সুযোগ ছিল না।
গত মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক কর দেওয়ার পর কোনো মুনাফা থাকছে না। লোকসান থাকছে ১০ কোটি টাকা।
গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির লোকসান ছিল প্রায় ৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সেই হিসেবে ব্যাংকটির লোকসান কমেছে ২২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
অনিয়মের কারণে ২০০৬ সালের আলোচিত ওরিয়েন্টাল ব্যাংক পুনর্গঠন করে পরবর্তীতে নতুন মালিকানায় আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক চালু করা হয়। ব্যাংকটির মালিকানায় রয়েছে মালয়েশিয়ার একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী।
বড় অঙ্কের জালিয়াতির ফলে ব্যাংকটির আমানতকারীদের অর্থ ফেরতে দীর্ঘ সময়ে নিচ্ছে আইবিসি ইসলামিক ব্যাংক।
এছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রমও ভালো চলছিল না ব্যাংকটির। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে ছিল ব্যাংকটি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের কিছুটা মুনাফা থাকায় ব্যাংকটির সামগ্রিক লোকসান কমে আসে।
তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.১৭ টাকা। গত বছরে একই সময়ে লোকসান ছিল ০.২০ টাকা।
৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার লোকসান হয়েছে ০.১৫ টাকা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০. ৪৯ টাকা।
শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ০.৩৯ টাকা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দায় হয়েছে ১৭.৪১ টাকা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনো লভ্যাংশ দিতে না পারা ব্যাংকটির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের সবশেষ দর চার টাকা।