বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোক্তা ঋণ বিতরণে ব্যাংকের খরচ কমলো

  •    
  • ২০ অক্টোবর, ২০২০ ২২:১৮

এতে ব্যাংকগুলোর তহবিল খরচ কমবে এবং ব্যাংকগুলো আরো বেশি করে ভোক্তা ঋণ বিতরণে আগ্রহ দেখাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

ব্যাংকগুলো প্রতি একশ টাকা ভোক্তা ঋণের বিপরীতে এতোদিন পাঁচ টাকা করে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিত রাখতো। এখন থেকে রাখতে হবে দুই টাকা করে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালায় এই পরিবর্তন আনে।

এতে ব্যাংকগুলোর তহবিল খরচ কমবে এবং ব্যাংকগুলো আরো বেশি করে ভোক্তা ঋণ বিতরণে আগ্রহ দেখাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গত এপ্রিল থেকে দেশের ব্যাংকগুলোতে সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে ভোক্তা ঋণ বিতরণের খরচ বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো এ ধরনের ঋণ বিতরণে অনীহা দেখায় বলে অভিযোগ করছিলেন গ্রাহকেরা। এ কারণে ব্যাংকের তহবিল খরচ কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ডের ঋণের বিপরীতে সাধারণ প্রভিশন আগেই কমিয়ে দুই শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এখন গৃহঋণ বাদে সব ধরনের ভোক্তা ঋণের সাধারণ প্রভিশন ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হলো।

আমানতকারীদের স্বার্থ মাথায় রেখে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতো কোনো একটি ঋণ যতক্ষণ পর্যন্ত খেলাপি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীতে ৫ শতাংশ সাধারণ প্রভিশন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়। ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফার টাকা থেকে এই প্রভিশন সংরক্ষণ করে। কোনো ঋণ খেলাপিতে পরিণত হলে ওই ঋণের শতভাগ প্রভিশন করতে হয় ব্যাংকগুলোকে।

বর্তমানে গৃহঋণের বিপরীতে এক শতাংশ করে সাধারণ প্রভিশন রাখতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।

তবে অন্যান্য ভোক্তা ঋণ যেমন গাড়ি কেনা, ফার্নিচার বা ফ্রিজ-টেলিভিশনের মতো ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ দিলে তার বিপরীতে দুই শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হবে ব্যাংকগুলোকে।

এ বিভাগের আরো খবর