হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের প্রয়োজনীয় তথ্য যথাযথভাবে লেখার নির্দেশনা থাকলেও তা সঠিকভাবে মানছে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে অনিয়ম বা তদন্তের প্রয়োজনে গ্রাহকের তথ্য দরকার হলে অনেকে ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যায় না। গ্রাহককে শনাক্ত করা কঠিন হয়।
এমন বাস্তবতায় সম্প্রতি হিসাব খোলার বিষয়ে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করার নির্দেশনা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহের (কেওয়াইসি-নো ইওর কাস্টমার) নির্দেশনা দেয়া আছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকর মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএফআইইউর নির্দেশনা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান উভয়ের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। তারপরও দুদক থেকে যেহেতু বলা হয়েছে, আমরা নতুন করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেব, যাতে তারা গ্রাহকের হিসাব খোলার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হয়।’
কয়েক বছর ধরে দেশের ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। গত বছর বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অবসায়নের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর পর থেকে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো আমানত সংগ্রহে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে।
এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৩৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৮০ কোটি টাকা আমানত তুলে নিয়েছে গ্রাহকরা।