বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি না হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে নতুন দাম ঠিক করেছে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩০ নয়, খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৩৫ টাকা।
একইভাবে পাইকারিতে ২৫ টাকার স্থলে ৩০ টাকা আর হিমাগারে ২৩ টাকার বদলে ২৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি বিপণন অধিদফতরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন এই সিদ্ধান্ত জানান কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ।
- আরও পড়ুন: জরিমানার ভয়ে আলু বিক্রি বন্ধ
এর আগে গত ৭ অক্টোবর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা, পাইকারি ও হিমাগারে দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, হিমাগার বিক্রি করবে ২৩ টাকায়, পাইকারিতে ২৫ টাকায় আর খুচরায় ৩০।
নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয় নির্দেশ। চিঠিটি নিয়ে জানাজানি হয় এক সপ্তাহ পর।
তবে খোলাবাজার, পাইকারি বা হিমাগারে কেউ বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি করছিলেন না। আবার জরিমানার ভয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় পাইকারি দোকান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
জরিমানার ভয়ে কারওয়ানবাজারে আলুর পাইকারি দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা
এই পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় আড়তদার, খুচরা ব্যবসায়ী, হিমাগার মালিকের সঙ্গে বৈঠকে বসে। ছিল অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিও।
বৈঠক শেষে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নতুন দাম ঘোষণা করেন। বলেন, ‘পুলিশ-র্যাব দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এজন্য আমরা পুনর্বিবেচনা করেছি।
- আরও পড়ুন: আলু নেই ঝিনাইদহের বাজারে
মহাপরিচালক এও বলেন, নতুন দামে যেসব ব্যবসায়ীরা আলু বিক্রি করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
নতুন আলু এলে দাম কমে যাবে আশা করে ইউসুফ বলেন, ‘আলুতে আমাদের ঘাটতি থাকার কোনো কারণ নেই। আমাদের পর্যাপ্ত আলু হয়। আশা করি ভবিষ্যতে এই সমস্যা হবে না। আমরা আলু রপ্তানির চিন্তাও করছি।’
আরও পড়ুন: শর্ত দিয়ে সুপার শপে আলু ৩০ টাকায়
‘আলু বিপর্যয়ে’ দুঃখও প্রকাশ করেন ইউসুফ। বলেন, ‘আমরা খুবই দুঃখিত। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছে।’
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, গত মৌসুমে চাহিদার চেয়ে ৩১ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত মূল্যে হিমাগার, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতাসহ ত্রিপক্ষই যেন আলু বিক্রি করেন সে জন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রেন অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, হিমাগার মালিকদের সংগঠন কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, কারওয়ানবাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি আড়তদাররা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।