খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা বেঁধে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদফতর। তবে তা মানছেন না সিলেটের বেশিরভাগ বিক্রেতা। জেলা শহরের চারটি বাজারের কোনোটিতেই ৫০ টাকার নিচে মিলেনি আলু।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় কেনা আলু তাদের পক্ষে ৩০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব নয়। আর অতিরিক্ত দামের জন্য প্রশাসনের নজরদারি না থাকাকে দায়ী করেছেন ক্রেতারা।
শনিবার সকালে সিলেট নগরের আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, রিকাবীবাজার ও বন্দরবাজার ঘুরে কোথাও ৫০ টাকার নিচে আলু বিক্রি হতে দেখা যায়নি। এসব বাজারের কিছু ব্যবসায়ী কেজিতে ৫৫ টাকাও দাম চাচ্ছেন।
বেশি দামে আলু বিক্রির কারণ জানতে চাইলে মদিনা মার্কেট সবজি বাজারের ব্যবসায়ী তারিফ মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকেই তিনি আলু কিনেছেন ৪৪ টাকায়। এর মধ্যে কিছু নষ্ট আলু ফেলে দিতে হয়। পরিবহন ও শ্রমিক খরচও আছে। ৫০ টাকায় বিক্রি করেও তাই কেজিতে দেড় থেকে দুই টাকার বেশি লাভ হয় না।
আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী তারেক মিয়া বলেন, দাম কম-বেশি করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা চাইলেও কিছু করতে পারেন না।
একই বাজারে মারুফ আহমদ নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন ইচ্ছে দাম বাড়ান। প্রশাসনেরও কোনো নজরদারি নেই। ৫০ টাকা দিয়ে জীবনেও আলু কেনেননি।
আরেক ক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার অধিদফতর নিয়মিত বাজারে অভিযান চালালে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকত। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্য ৩০ টাকার আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছি। বিক্রেতাদের ৩০ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করতে বলেছি। এরপরও অতিরিক্ত দাম রাখলে জরিমানা করা হবে।’