চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূবার্ভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। করোনা মহামারির কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি মনে করছে।
‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক।
এতে যে পূভার্বাস দেওয়া হয়েছে, তা সরকারেরর প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম। সরকার চলতি বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরেছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
এডিবি তার পূর্বাভাসে বলেছিল , মহামারি থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পেতে শুরু করেছে। নানা প্রতিকূলতা থাকার পরও সরকার উপযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে।
করোনার মধ্যে গত অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, যদিও বিশব্যাংক এবং আইএমএফ এর চেয়ে আরো কম প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি এতো কমে যাওয়ার পূর্ভাবাস সম্পের্কে বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বে অর্থনীতি মন্দাভাব চলছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশ।
তবে সংস্থাটি মনে করে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকারের পদক্ষেপ সময়োচিত ও সঠিক। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্য ও গরীব মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তা হলে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে চলতি অর্থবছরে ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ঋণাত্মক। এটি হতে পারে ( বিয়োগ ৯ দশমিক ৬ শতাংশ)। এ ছাড়া নেপালে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ ও পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে। একমাত্র শ্রীলংকার প্রবৃদ্ধি হবে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। এ বছর দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।