বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি লেনদেনে নীতি-সহায়তার সময় ছয় মাস বাড়ল

  • শেখ শাফায়াত হোসেন, ঢাকা   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২০ ২০:২১

করোনাভাইরাসের প্রভাব থেকে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বিদেশি লেনদেন সংক্রান্ত নীতিমালায় দেওয়া ছাড়ের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের জন্য রিপেমেন্ট গ্যারান্টি অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই পাঁচ লাখ ডলার পর্যন্ত অগ্রিম আমদানি মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পরপরই এই সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বরে সুবিধার মেয়াদ শেষ হলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এই সুবিধা আরো কিছুকাল বহাল রাখার দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এসব ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন করে সার্কুলার জারি করে।

নীতি সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব এখনও রয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে নীতি সহায়তাগুলোর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এতে স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে এবং রফতানি কার্যক্রম বেগবান হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, উৎপাদনের কাঁচামাল, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে বাকিতে মূল্য পরিশোধের জন্য আবারও ৩৬০ দিন সময় পাবেন আমদানিকারকরা। আগে এই সময় ছিল ১৮০ দিন।

এছাড়া জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির মূল্য বাকিতে পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় আবারও বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে, যা ছিল ৯০ দিন।

কোনো ব্যবসায়ী রফতানি মূল্য থেকে উপকরণ আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে চাইলে (ব্যাক টু ব্যাক বা ইউজেন্স) ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের আওতায় কাঁচামাল সরবরাহের বিপরীতে পরিশোধ কার্যক্রম ব্যাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত বিদেশি মুদ্রায় নিকাশ (এফসি ক্লিয়ারিং) হিসাবের মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা শিথিল করে ব্যাংকের যেসব শাখায় বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন হয়, সেই সব অনুমোদিত ডিলার শাখার নস্ট্রো হিসাবের মাধ্যমে সম্পাদনের সুযোগও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই দিন অন্য একটি সার্কুলারের মাধ্যমে বাইরের দেশের পণ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে পাওয়া ঋণ সুবিধার (সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিট) আওতায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে খোলা ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ছয় মাসের জন্য পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এক্ষেত্রে ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার শাখাকে নিশ্চিত হতে হবে সরবরাহকারী বাকিতে মূল্য পরিশোধের সময় বাড়ানোর বা বিদেশি অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ওই ছয় মাসের জন্য পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিচ্ছে না।

অপর একটি সার্কুলারে সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি তিন মাস ভিত্তিতে দায় পরিশোধের ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময় বাড়িয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে নিঃসন্দেহে। তবে রফতানি খাত এখনও অনেক ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য এ খাতে আরো সহজ শর্তে চলতি মূলধন ঋণ সুবিধা দেওয়ার দরকার আছে।

এ বিভাগের আরো খবর