বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শরবত বিক্রেতা থেকে তরুণী এখন পুলিশের কর্তা

  •    
  • ২৮ জুন, ২০২১ ১৪:২৫

‘১৮ বছর বয়সে স্বামী ও পরিবার তাকে পরিত্যাগ করে, ৬ মাসের শিশুসহ তাকে রাস্তায় রেখে যায়। তার ভাগ্য এখন পরিবর্তন হয়ে ভালকারা থানার পুলিশের পরির্দশক।’

অল্প বয়সে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ঠাঁই হয় না নিজ বাড়িতে। বাড়িছাড়া হয়ে সংসার বাঁধার স্বপ্ন দেখেন স্বামীর সঙ্গে। ছেলে সন্তানের মা-ও হন। তবে সুখ সয়নি বেশিদিন।

সন্তান জন্মের পর স্বামী ছেড়ে দেন। ফিরতে পারেননি নিজের বাড়িতেও। অগত্যা বাস খুপরি ঘরে। জীবন চালাতে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন লেবুর শরবত, আইসক্রিম, হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি। তার ১২ বছর পর তিনি এখন পুলিশের কর্তা।

কঠোর পরিশ্রমে এমন জীবন গড়েছেন ভারতের কেরালা রাজ্যের এক নারী।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যানি শিবা নামের ওই নারী কেরালায় ভারকালায় পর্যটকদের কাছে পরিচিত মুখ। তাকে একটা সময় বাধ্য হয়ে পর্যটকদের কাছে লেবুর শরবত ও আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা যেত।

১৮ বছর বসয়ী অ্যানি শিবা এখন ওই একই শহরের ভারকালার পুলিশের পরিদর্শক।

অ্যানির সফলতায় মুগ্ধ হয়ে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছে কেরালা পুলিশ। লিখেছে, ‘ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের একজন মডেল অ্যানি।’

‘১৮ বছর বয়সে স্বামী ও পরিবার তাকে পরিত্যাগ করে, ৬ মাসের শিশুসহ তাকে রাস্তায় রেখে যায়। তার ভাগ্য এখন পরিবর্তন হয়ে ভালকারা থানার পুলিশের পরির্দশক।’

অ্যানি শিবার বয়স এখন ৩১ বছর। তিনি ভালকারা থাকায় শিক্ষানবীশ পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

অ্যানি শিবা সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জানতে পারি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ভালকারা থানায়। সেটা এমন এক জায়গা যেখানে দিনের পর দিন আমি সন্তানকে নিয়ে চোখের পানি ফেলেছি, কেউ আমাকে সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।’

এখানে ভালাকারা শিবাগিরি আশ্রমে আমি ছোট একটি ব্যবসা শুরু করি। সেখানে লেবুর শরবত, আইসক্রিম ও হাতে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতাম। সবকিছুই ভেস্তে যায়। এমন এক সময় এক ব্যক্তি আমাকে কিছু অর্থ সহায়তা দেন। তিনি আমাকে পরামর্শ দেন লেখাপড়া করার। তিনি আমাকে বলেন পুলিশ পরিদর্শক পদে জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার।’

যখন অ্যানি শিবা কাঞ্জিরামকুলামের কেএনএম সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তখন পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর পরিবার শিবাকে পরিত্যাগ করে। যখন বাচ্চা হয়, তখন তার স্বামীও তাকে ছেড়ে যান।

এরপর আর শিবা বাড়িতে ফিরে যেতে পারেননি। আশ্রয়ের জন্য তিনি যান নানির কাছে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর ভালো একটা কিছু করবেন প্রত্যাশায় সে বাড়িও ছাড়েন ছেলে শিবিসুরিয়াকে নিয়ে।

শিবা বলেন, ‘আমি সবসময় চেয়েছি ভারতীয় পুলিশের অংশ হতে। কিন্তু কপালে অন্য কিছু লেখা ছিল। আমি এখন খুব গর্বিত সবার এমন সহযোগিতা পেয়ে। আমার এমন অর্জনে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আমার খুব ভালো লাগছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

এ বিভাগের আরো খবর