দুই দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার জিয়াউল ফারুক অপূর্বের। মডেলিং দিয়ে শুরু, এরপর নাম লেখান অভিনয়ে। নান্দনিক অভিনয় ও চরিত্রের ভিন্নতায় আজ তিনি টেলিভিশন নাটকের বরপুত্র, অনেকে তাকে রাজপুত্রও বলে থাকেন। রোমান্টিক অবয়বের জন্য ভক্তরা তাকে ‘রোমান্স কিং’ বলেও আখ্যা দেন।
গতকাল শুক্রবার জনপ্রিয় এ তারকার জন্মদিন। দেখতে দেখতে জীবনের অনেকগুলো বসন্ত পার করে দিলেন। ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজার আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এ সুপারস্টার।
মজার বিষয় হলো, আজ বাবা-ছেলে দুজনেরই জন্মদিন।
নিজের জন্মতারিখেই পৃথিবীতে আসেন অপূর্বর একমাত্র ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশ। বাবা-ছেলে দুজনেই সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। নিজের জন্মদিন নিয়ে কখনও কোন আয়োজন না করলেও আয়াশকে ঘিরে প্রতিবারই বাসায় ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজন রাখা হয়। তবে এবার দেশের বাইরে থাকায় ছেলেকে নিয়ে কোনো আয়োজন নেই বাবা অপূর্বের।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, ‘আজকের দিনটা শুধুই একটা তারিখ নয়, বরং জীবনের সবচেয়ে অলৌকিক উপহার স্মরণ করার দিন। আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু এই দিনটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, কারণ আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ, আমার ছেলে আয়াশেরও জন্মদিন। একই দিনে আমরা দুজন, বাবা ও ছেলে—জীবনের এই অনন্য বন্ধনটুকু ভাগ করে নেওয়া যেন এক অদ্ভুত আশীর্বাদ, জীবনের সবচেয়ে সেরা উপহার।’
সবার ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া নাটকের এই ‘বড় ছেলে’ আরো বলেন, ‘সকাল থেকেই চারপাশটা ভরে উঠেছে অফুরন্ত ভালোবাসায়। বন্ধু-বান্ধবের শুভেচ্ছা, পরিবারের আলিঙ্গন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া, আর আপনাদের—আমার কাছের কিংবা দূরের ভক্তদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। প্রতিটি বার্তা, প্রতিটি ফোন, প্রতিটি মিষ্টি শব্দ আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
এই দিনে বুঝি—জীবনে সত্যিকারের সৌভাগ্য কী! আমার আয়াশকে সঙ্গে নিয়ে এই দিনটা উদযাপন করতে পারা, এবং আপনাদের সবার শুভকামনায় সিক্ত হওয়া—এ যেন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত।’
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে থাকার জন্য, এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য, এবং আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে আমরা কতটা ভাগ্যবান—সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমার এবং আয়াশের পক্ষ থেকে, অসংখ্য ভালোবাসা, হৃদয়ের গভীর থেকে আরও একবার—ধন্যবাদ।’
এর আগে অপূর্ব বলেছিলেন, এই বিষয়টা খুবই বিরল মনে হয় আমার কাছে যে, বাবা-ছেলের জন্মদিন একই তারিখে। আমি সত্যি ভীষণ ভাগ্যবান বাবাদের একজন। নিজেকে পৃথিবীর সেরা ভাগ্যবান বাবা বলে মনে হয়। আয়াশ আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমি কখনোই আমার জন্মদিন ঘটা করে পালন করি না তবে এ দিনটা আয়াশকে ঘিরেই কাটিয়ে দেই সবসময়। সেই আয়োজনের আনন্দে নিজের জন্মদিনের কথা ভুলেই যাই।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আগামী সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।