গত কয়েক বছর রোজার ঈদে টিভি নাটকে বেশি দেখা মিলেছে নতুন প্রজন্মের চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের। এই তালিকায় অভিনেত্রীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন উঠতি তারকা সামিরা খান মাহি। তবে এবার ঈদে সেভাবে দেখা যায়নি সামিরা খান মাহিকে। এর মধ্যে একটি নাটক প্রচারে এলেও তা ছিল প্রায় দুই বছর আগে নির্মাণ করা। সেদিক থেকে ঈদুল ফিতরটা তার জন্য ছিল না বলা চলে। এর মধ্যে হঠাৎ এক ভিডিও ঘিরে সমালোচনার মুখে পড়েন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী। সামিরা খান মাহি সম্প্রতি তিনি ইয়ামাহার একটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন। সেখানে তার পরিহিত পোশাক এবং নাচের অঙ্গভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছিলেন, ‘নিজেকে যেন বলিউড অভিনেত্রী মনে করছেন!’ আবার কেউ বা বলছেন, তিনি এখন নাটকে অভিনয় করেন। একটা দর্শকমহলও তৈরি হয়েছে তার।
এসব বিষয়ে তার আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ‘এত ট্রান্সপারেন্ট জামা পরেন কীভাবে তিনি’, এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এসব সমালোচনা নিয়ে খানিক বিরক্তও অভিনেত্রী নিজে। জানালেন, ভিডিওটি যিনি পাবলিশ করেছেন তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন। সামিরা খান মাহি বলেন, ‘আমি ইভেন্টে অংশ নিয়ে এক ঘণ্টার মতো পারফর্ম করি। পুরো নাচের মধ্যে অনেক মুদ্রা ছিল কিন্তু সেখান থেকে কিছু অংশ নিয়ে সেটা জুম করে কেউ পাবলিশ করেছে, যেটা দেখতেও খুব বাজে লেগেছে। এমনটা করা মোটেও উচিত না।’
সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তো এটা কিছুদিন পরপরই হয়ে আসছে। এটা নিয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই। অনেকের কাছে মনে হয়েছে যে, আমি মনে হয় নাচের কস্টিউমের ভিতরে কিছুই পরিনি। কিন্তু তা না। নাচের কস্টিউমের ভিতরে আমি আরও দুটি জামা পরেছিলাম। যেহেতু কস্টিউম একদম বডি ফিটিং সে জন্য হয়তো এমন লেগেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তো নিজস্ব কস্টিউম ডিজাইনার কিংবা নিজস্ব মেকআপ আর্টিস্ট নেই যে চাইলেই নিজের মতো করে সবকিছু করতে পারব। আমি এই কস্টিউম পেয়েছি জাস্ট রিহার্সেলের সময় তাও এক দিন আগে। এটা পরিবর্তন করার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না।’