সংগীত ছাড়াও বাংলাদেশের শিল্প ও সৃজনশীল জগতে প্রভাব রাখার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা (সিএসবি)।
প্ল্যাটফর্মটির ‘কোক স্টুডিও বাংলা বিলবোর্ড ফ্যান আর্ট কনটেস্ট’ নামের প্রতিযোগিতায় দুই মাসেরও কম সময়ে ৬০টির বেশি শিল্পকর্ম জমা পড়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিএসবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্ল্যাটফর্মটি যাত্রা শুরু করার পর থেকে এই চমৎকার গান ও শিল্পীদের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে হাজারো ভক্ত ও শিল্পীরা তাদের সৃজনশীল চিত্রকর্ম প্রকাশ করেছেন। পেইন্টিং, স্কেচ, ডিজিটাল আর্ট, অ্যানিমেশন, ক্যালিগ্রাফি, এআই-জেনারেটেড ইমেজেস ইত্যাদিসহ হাজারো চিত্রকর্ম ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
“এই উৎসাহ ও সৃজনশীলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্ল্যাটফর্মটি ‘কোক স্টুডিও বাংলা বিলবোর্ড ফ্যান আর্ট কনটেস্ট’ শুরু করে। দুই মাসেরও কম সময়ে তাদের কাছে ৬০টির বেশি শিল্পকর্ম জমা পড়ে, যার মধ্যে নির্বাচিত কিছু শিল্পকর্ম ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ১১টি বিলবোর্ডে প্রদর্শিত হয়েছে।”
এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩ লক্ষের বেশি কথোপকথন, হাজারো ফ্যান আর্ট, মিউজিক ও ড্যান্স কাভার এবং যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা একটি প্রাণবন্ত ও সংযুক্ত কমিউনিটি তৈরি করেছে। এই কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মটির গানগুলোর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা সবসময় তুলে ধরছে।
“প্রথম দুই সিজনে আমরা অভূতপূর্ব সমর্থন ও সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা সৃজনশীল ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার প্রেরণা পাই।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে কোক স্টুডিওর যাত্রা শুরু হওয়ার পর সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসে কোক স্টুডিও বাংলা (সিএসবি)। শুরু হওয়ার পর থেকেই বৈচিত্র্যময় ধারার প্রতিভাগুলোকে একত্রিত করে সৃজনশীল ও নতুন ধারার সংগীত সৃষ্টির মাধ্যমে সংগীত জগতে আলোড়ন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গান প্ল্যাটফর্মটিতে পরিবেশন হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০০ জন শিল্পী, যার মধ্যে আছেন অনিমেষ রায়, হামিদা বানু, আলেয়া বেগম, মুকুল মজুমদার ঈশানসহ অনেক লুকিয়ে থাকা রত্ন।
সিএসবির ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২৮.৬ লাখের বেশি। ইউটিউবে সিএসবির সেরা গানের তালিকায় রয়েছে প্রথম সিজনের ‘ভবের পাগল’, ‘বুলবুলি’ ও ‘নাসেক নাসেক’ এবং দ্বিতীয় সিজনের ‘দেওরা’ ও ‘কথা কইয়ো না’।