ঢাকাই সিনেমায় সালমান শাহকে বলা হয় ‘স্বপ্নের নায়ক’। ১৯৯৩ সালে ধূমকেতুর মতো বাংলা চলচ্চিত্রে আবির্ভাব সালমান শাহর। প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে জয় করে নেন দর্শকের মন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। মাত্র ৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তার প্রায় সব চলচ্চিত্রই সুপারহিট।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। আর ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। ২৭ বছর হলো নেই বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা এ তারকা, তবে আজও ভক্তদের মধ্যে বেঁচে আছেন ‘স্বপ্নের নায়ক’ হয়েই।
‘স্বপ্নের নায়ক’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেন সালমান শাহ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই। মুক্তির আগেই মারা যান তিনি, তবে ভক্তদের মনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই নেন স্বপ্নের নায়ক হয়েই। নিজের জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত ধাপ তিনি দেখে যেতে পারেননি। তাই তো মৃত্যুর ২৭ বছর পর আজও কাঁদেন সালমান ভক্তরা।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান সালমান শাহ। তখনও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার ক্যারিয়ার ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। মাত্র তিন বছরেই তিনি অভিনয় করে ফেলেন ২৭টি সিনেমায়, তবে সালমান শাহ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও আগে থেকে। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি।
সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ও ‘আনন্দ অশ্রু’ অন্যতম। সিনেমার পাশাপাশি এর গানগুলোও তুমুল জনপ্রিয় শ্রোতাদের কাছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য রয়েছে। জন্মস্থান সিলেটে তাকে সমাহিত করা হয়।
পরে তার মৃত্যু নিয়ে মামলা করে পরিবার, যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।