বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের করা মানহানি মামলায় বর্ষীয়ান গীতিকারকে সমন পাঠিয়েছে মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ ও ৫০৯ ধারায় জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। সেই মামলাতেই আগামী ৫ আগস্ট অন্ধেরি কোর্টে তাকে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন এবং একজন নারীর শালীনতাহানির জন্য জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে আদালত।
এর আগে ২০২০ সালে ‘আপ কি আদালত’ অনুষ্ঠানের কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, জাভেদ আখতার তাকে বলেছিলেন, তিনি যদি হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চান তবে তকে জেলে পাঠাবেন তিনি। তখন তার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
কঙ্গনার সেই কথার ভিত্তিতে, আদালতে মানহানির মামলা করেন জাভেদ। এরপর গীতিকারের নামে পালটা মামলা করেন কঙ্গনাও।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আন্ধেরির আদালত) আরএম শেখ গত ২৪ জুলাই জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে করেন।
সমন জারি করার সময় আদালত জানিয়েছে, গীতিকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কোনো মামলা করা হয়নি। তবে কঙ্গনার আনা অভিযোগের যাচাইকরণ ও তার (কঙ্গনার) বোন রঙ্গোলি চন্দেলের বক্তব্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত এসেছে।
২০১৬ সালে কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে তার সহ অভিনেতা হৃতিক রোশনের ‘প্রেম-সম্পর্ক’কে ঘিরে জটিলতা তৈরি হ। সেখান থেকে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা। ফাঁস হয়েছিল কিছু ব্যক্তিগত চ্যাটিংও।
ঠিক ওই সময়ই ডা. রমেশ আগরওয়ালের পরামর্শে কঙ্গনাকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জাভেদ। কঙ্গনার দাবি, সেই সময় জাভেদ তাকে এবং তার বোনকে বিদ্বেষমূলক উদ্দেশে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তাদের ভয় দেখিয়েছিলেন ও হুমকি দিয়েছিলেন।
কঙ্গনার ভাষ্যমতে, জাভেদ নাকি সেই সময় বলেছিলেন, ‘যদি আপনি হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা না চান, তবে আপনাকে আত্মহত্যা করতে হবে। কারণ রোশন পরিবার আপনাকে জেলে পাঠাবে। তাদের কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তারা এটাও জানেন যে, মামলাটি সম্পূর্ণ তাদেরই হাতেই রয়েছে।’