বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওপেনহাইমারের আপত্তিকর দৃশ্যে হিন্দু শ্লোক, ভারতজুড়ে উত্তেজনা

ডানপন্থী হিন্দুদের সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, বিশ্বের হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ শুরু করার একটি প্রয়াস এ সিনেমাটি।

মুক্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী সিনেমা হলগুলোতে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করছে ক্রিস্টোফার নোলানের সর্বশেষ সিনেমা ওপেনহাইমার। কিন্তু সিনেমার একটি আপত্তিকর দৃশ্যে হিন্দুদের পবিত্র শ্লোক ব্যবহারের অভিযোগে ভারতসহ সারা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সিনেমাটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পদার্থবিদ রবার্ট ওপেনহেইমারের আত্মজীবনীমূলক সিনেমাটি সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও মুক্তি পেয়েছে। বাঘা অভিনেতা কিলিয়ান মারফি অভিনীত সিনেমাটি শুক্রবার ভারতে মুক্তির পর দুইদিনে বক্স অফিসে ৩০ লাখ ডলারের বেশি উপার্জন করেছে।

কিন্তু সিনেমার একটি আপত্তিকর দৃশ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছে সিনেমা-সংশ্লিষ্টরা। ওউ দৃশ্যে ওপেনহাইমারকে তার প্রেমিকা জ্য ট্যাটলকের সঙ্গে দেখা যায়। দৃশ্যের এক পর্যায়ে ট্যাটলকের ভূমিকায় অভিনয় করা ব্রিটিশ অভিনেত্রী ফ্লোরেন্স পিউকে হিন্দুদের ধর্মীয় শাস্ত্র ভগবত গীতার একটি কপি খুলতে দেখা যায়। তিনি সে সময় তার প্রেমিককে ওই ধর্মগ্রন্থ থেকে শ্লোক পড়তে বলেন।

ওপেনহাইমারের চরিত্রে অভিনয় করা মারফি শ্লোকটি পড়েন, ‘এখন আমি মৃত্যুতে রুপান্তরিত হয়েছি যা এ বিশ্বের সবকিছুর ধ্বংসকারী।’ উদ্ধৃতিটি পড়ার সময় তিনি প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার স্মৃতিচারণ করছিলেন।

এমন দৃশ্যে ধর্মীয় ভাবাবেগ টেনে নিয়ে আসা একদম ভালোভাবে নেয়নি ভারতের হিন্দু অধিবাসীরা। আপত্তিকর দৃশ্যে পবিত্র শ্লোক এবং শ্লোক পাঠের সময় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা উপস্থাপনকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন অনেকে।

ওই দৃশ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে উদয় মাহুরকার নামে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সিনেমার পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে ঘটনাটিকে তিনি ‘শত শত কোটি হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর সরাসরি আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

এক টুইটে ওই চিঠিটির একটি অনুলিপি শেয়ার করে দৃশ্যটি তিনি নোলানকে (সিনেমা থেকে) কেটে ফেলতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অভিযোগ করে টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর শামিল।’

এ ঘটনার পর থেকে টুইটারে #BoycottOppenheimer #RespectHinduCulture এর মতো হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হতে দেখা যায়।

হ্যারিস সুলতান নামে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান সাবেক মুসলিম লেখক এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, ‘এ ঘটনায় হিন্দুরা প্রচণ্ড অসম্মানে ক্ষুব্ধ এবং হতবাক।’

ডানপন্থী হিন্দুদের সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদও দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, বিশ্বের হিন্দু সমাজের ওপর আক্রমণ শুরু করার একটি প্রয়াস এ সিনেমাটি।

সংগঠনের মুখপাত্র বিনোদ বংশাল বলেছেন, ‘(সিনেমাটির) মাধ্যমে বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে বিশ্রীভাবে আঘাত করা হয়েছে। নির্মাতাদের উচিত এ ঘটনায় সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’

এ বিভাগের আরো খবর