বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওমর সানি মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছে: নূতন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১১ মে, ২০২৩ ১৬:১২

নূতন লিখেছেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সেই মানসিক খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবি দাবি করে বার- বার খেই হারিয়ে ফেলছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়। ওমর সানি কি ফিল্ম হিরো না মৌসুমির জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘প্রিয়তমা’ বিষয়ক এক বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হওয়া চিত্রনায়ক ওমর সানি এখন মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে আছেন বলে মনে করছেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দীর্ঘ এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে নূতন ওমর সানিকে বুদ্ধিজীবী খেতার দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন।

নায়িকা লিখেছেন, ওমর সানিকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেয়ার দাবি জানানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ওমর সানি আমার ছোট ভাই খুব আদরের, আমি ওরে বাংলাদেশ ফিল্মে জন্মাইতে দেখছি। ইমরান ছিল ওর নাম। এফডিসিতে আসা, কাজ করা, সব চোখের সামনেই।

তিনি বলেন, সে তার একটা অবস্থান করেছে, অভিনেতা হয়েছে। বাম হাতে সালাম দিতো তাই বেয়াদব ভাবতাম। পরে দেখলাম না ভালো ছেলে তবে ব্যাকাতেরা বাম পাশেই চলে। এমন কিছু অভ্যাস আমারও আছে। ভাবি বলে সম্মান করে আমায়, আমি ভাই বলে জানি।

নূতন লিখেছেন, সানি কোনো দিন (জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার) অভিনেতা হিসেবে পেয়েছে কি না আমি জানি না। শেষ ২০১৪ পর্যন্ত আমি জানি সে পায়নি। তা নিয়ে আমার অনেক জায়গায় আক্ষেপ ছিল। কেন তাকে দেয়া হয়নি? সে কি যোগ্য না, সেটা যারা দেয় তারা জানেন ভালো করে। তবে সে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য।

তিনি লেখেন, কিন্তু সানির জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ও প্রভাব আসে যখন সে মৌসুমীকে বিয়ে করে। মৌসুমীর দিনের পর দিন উজ্জ্বল চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আর সানির ক্ষানিকটা পরে যাওয়া ক্যারিয়ার সামাল দিতে না পেরে মানসিকভাবে দ্বিধায় পড়ে যায়। যার খেসারত সে মানসিকভাবেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। অনেক চড়াই উতরাই পার তাকে হতে হয়েছে।

নূতন লিখেছেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সেই মানসিক খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবি দাবি করে বার- বার খেই হারিয়ে ফেলছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়। ওমর সানি কি ফিল্ম হিরো না মৌসুমির জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক?

তিনি আরও লিখেছেন, সানি নব্য একটা সেক্টর বা বুদ্ধিবৃত্তিক নামকরণ করার ঝুঁকি নিয়েছেন তার জন্য সাদুবাদ। কীভাবে এই নামকরণ আসছে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে সানির থেকে এই চিন্তা এলে তাকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেয়ার দাবি জানানো যেতে পারে। কারণ আমি সানির লেখা দেখেই এই নামকরণের সাথে পরিচিত হলাম।

তিনি লিখেছেন, প্রিয়তমা কি? এর সংজ্ঞা কি? বা কি কি ভাবে তা হয়? বা আদৌ এই নামের কোনোব্যাখ্যা আছে কি না? তা আমার জানা নেই তবে সানির নামকরণের ফর্দ দেখে মনে হলো ওই একই। বা সানি হয়তো- ওই যে বললাম মানসিকতার খেসারত দেয়ার মধ্যে আছে তাই। এমন একটা চিন্তার উদ্ভব ঘটিয়েছেন।

নূতন লিখেছেন, সানি, বাবারে আগে জানো ফিল্মের চেইন কী? শাবানা ববিতার নাম নিয়ে পাবলিক সিম্প্যাথি নেয়া শুধু ফেইসবুকেই সীমাবদ্ধ, এসব ফেসবুকেই মানায় বাস্তবে মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়।

তিনি লিখেছেন, শাবানা, শবনম,ববিতা, কবরি,রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অলিভিয়া, সুচন্দা, চম্পা, রোজি সিদ্দিকি, মায়া হাজারিকা, সুমিতা ও আমার কথা বাদ। আমি খুব সামান্য, এদের অনেক অনেক পরের অবস্থান আমার ছোট প্রিয় আদরের বোন মৌসুমী, তার পরে বাকিদের অবস্থান।

নূতন লিখেছেন, তার চেয়ে বড় কথা তুমি যখন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আসছো, মানে কলকাতা। তাহলে তো তোমার এই চেইনে আরও মিনিমাম ১০টা নাম যুক্ত হবে, যাদের সাথে ফিম্মের সব বিশেষণ যুক্ত হবে। তাদের চিনো না হয়তো ভালো করে,বা জানা নেই।

তিনি লিখেছেন, তারপর অনেক অনেক পরে আসবে তোমার বিচারিক নাম, যদিও তোমার বিচার বা লেখা তুমি লেখতেই পারো আমি যেমন লেখলাম। তবে তোমার এই স্বঘোষিত বিচারিক প্রক্রিয়া আমাকে আবার জানান দিলো যে তুমি মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে আছো।

নূতন লিখেছেন, মৌসুমী নি:সন্দেহ গুণী অভিনেত্রী এবং সুন্দরী। আমি তার ভক্ত, শাবনুরকে আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুসরণ করি শাবনুর কোটিতে ১ জন। পূর্ণিমা গুণী। কাকে কার সাথে মিলাতে হয় তা বুঝতে হবে। তার চেয়ে বড় কথা মৌসুমীর এই গুণ আর ব্যক্তিত্বকে সস্তা বিচারিক প্রক্রিয়ায় বলার জন্য বলে বা লেখার জন্য লেখে বার বার জানান দিয়ে তিতা করার এই তিতা মানসিকতা প্রকাশ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে তুমি মৌসুমীর নামটাকে তিতা বানায়ে ফেলছো।

নায়িকা লিখেছেন, তবে আরও অনেক আছে যাদের নাম ভেবে চিন্তায় নিতে হয় সেই ভাবনা চিন্তার জ্ঞানের পরিধি তোমার সীমিত। যেহেতু তোমার কিছু ফেসবুক অনুসারী আছে তারা না বুঝে সায় দেয়, তাই তাদের সঠিক কিছু জানাও যেন তারা ভুল না জানে। আর নিজে জেনে নাও। তা না হলে কর্মের ফলে কিছু দিন বছরও না তোমার নাম ভুলে যাবে। মৌসুমীরও অসম্মান হবে।

সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে ওমর সানি লেখেন, প্রিয়তমা বলতে আমি এইভাবে বুঝি- যেমন বাংলায় সুচিত্রা সেন, কবরী, শাবানা, ববিতা, মৌসুমী, শাবনূর পূর্ণিমা। আমি এভাবেই ভাবছি। আর এখন কী দেখছি এই হচ্ছে প্রিয়তমা। এত মধুর নামের সঙ্গে মধুর ভাবনা দরকার।

ওই পোস্টে কমেন্ট করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। তিনি প্রশ্ন তোলেন এ তালিকায় তিনিসহ আরও অনেকেই কেন নেই। এসব প্রসঙ্গ তুলে নূতন পোস্টে ওমর সানিকে নিয়ে মন্তব্য করলেন।

এ বিভাগের আরো খবর