নারীদের চোখে দেখা গল্প বা নারীজীবনের গল্প পুরুষরা বলে যাচ্ছে কিন্তু নারীরা বলতে পারছে না। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন প্রকল্পে নারী নির্মাতা ও ক্রুরাও সুযোগ পাচ্ছেন না। এটা মূলত মানসিকতার সমস্যা বলে মনে করছেন দেশের নারী নির্মাতারা।
লিট ফেস্টে শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘থ্রু হার লেন্স’ সেশনে এসব কথা বলেন আলোচকেরা। নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা হুমায়রা বিলকিস, এলিজাবেথ ডি. কস্তা, তাসমিয়াহ আফরীন মৌ ও সিনেমাটোগ্রাফার রায়ান সায়মা।
মৌ বলেন, ‘একটা অ্যান্থোলজি সিনেমা হয়েছিল, নাম ইতি তোমারই ঢাকা। সেখানে ১১ জন পুরুষ পরিচালক ছোট ছোট করে তাদের চোখে দেখা সিনেমা নির্মাণ করেছেন। সেখানে নারীর চোখে দেখা গল্প কই?’
হুমায়রা বলেন, ‘শুধু নারী দিবসে নারী নির্মাতাদের কদর কিছুটা বাড়ে। আমি একটা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোন পেয়েছিলাম নারী দিবসের প্রকল্পে কাজ করতে। সেটাও খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমি শুধু পরিচালনা করব। অন্য সব তারা করবেন। এভাবে কি কাজ করা যায়?’
ঢাকা লিট ফেস্টে ‘থ্রু হার লেন্স’ সেশনের আলোচকরা। ছবি: নিউজবাংলা
রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে নতুন বছরে অনেকগুলো প্রজেক্ট ঘোষণা করেছে, কিন্তু সেখানে নারী নির্মাতাদের অংশগ্রহণ নেই। তারা নারী নির্মাতার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, কিন্তু নারীদের প্রজেক্টগুলো ঠিকমতো শেষ হওয়ার উদাহরণ বেশি।’
অনেক জায়গায় নারীদের দেখানোর শুধু রাখা হয় উল্লেখ করে এলিজাবেথ ডি. কস্তা বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ শুধু রাখার জন্য রাখতে চায়, তাহলে সেই প্রকল্পতে আমি থাকব না। সেটাই বেশি হয়।’
সিনেমাটোগ্রাফার সায়মার জন্য এগিয়ে যাওয়া ছিল বেশি কঠিন। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, নারী এ জন্য তার সঙ্গে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করতে চাননি। তার ডিরেকশনও কয়েকজন মানতে রাজি ছিলেন না।
মানসিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব দূর করবে বলে মনে করেন তারা। চেয়েছেন পলিসিরও পরিবর্তন।