ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের দ্বন্দ্বে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমগুলো। বিদায়ী বছরের শেষ দিনে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রাজের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন পরীমনি।
নতুন বছরের প্রথম দিনে ফেসবুকে রক্তমাখা বিছানা-বালিশের ছবি প্রকাশ করে আরেক স্ট্যাটাসে রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগও করেন পরীমনি।
এদিকে পরীমনির সঙ্গে সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে রাজ জানিয়েছেন, এ সম্পর্ক আর জোড়া লাগবে না। সব মিলিয়ে তাদের বিচ্ছেদের বিষয়টি যখন জোর আলোচনায়, তখন আগুনে পানি ঢালার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে চিত্রনায়িকা শিরিন শিলার ফেসবুক স্ট্যাটাস।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছেন, রাজ-পরীর সব ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে, তবে একেবারে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন পরীমনি।
বুধবার রাত প্রায় ১২টার দিকে শিরিন শিলা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ভেরিফায়েড পেজে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, পরীমনি ও রাজ ভিডিওকলে শিরিন শিলার সঙ্গে কথা বলছেন। সেই ছবিতে তাদের ছেলে রাজ্যকেও দেখা যায়।
ছবিগুলো পোস্ট করে শিরিন শিলা লেখেন, ‘অভিনন্দন দোস্ত পরীমনি। সব ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আবার নতুন করে সুখের সংসার গড়ে তোলার জন্য। যারা পরীমনির সংসারে ভাঙন দেখে খুশি হয়েছিলে, তারা বিষ খেয়ে মরে যাও, কারণ যারা মানুষের সুখ দেখতে পারে না, তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরী-রাজ, রাজ্যের জয় হোক।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে পরীমনির কাছে নিউজবাংলার প্রশ্ন ছিল, শিরিন শিলার ফেসবুক পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরী-রাজ এক হয়েছেন বলা যাবে কি না?’
এর জবাবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এককথায় পরীমনি বলেন, ‘না।’
এ সংবাদ প্রকাশের আগেই শিরিন শিলার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে স্ট্যাটাসটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
রাজ-পরীকে নিয়ে শিরিন শিলার ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত
গত ৩১ ডিসেম্বর রাত পৌনে একটার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
এরপর নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিছানা-বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগওয়ালা দুটি ছবি পোস্ট করে রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন পরীমনি।
দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসের একাংশে পরীমনি লেখেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু, কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’