বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিল্ম কমিশন, নীতি রিভিউ, গ্রেপ্তার ইস্যুসহ ফ্যাবের ৮ দাবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০

আয়োজন শেষে ফ্যাব ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে তাদের ৮ দাবি। তারা বলছে, ফ্যাব ফেস্ট হলো আক্ষেপের বদলে পদক্ষেপের শুরু।

ফিল্ম অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের (ফ্যাব) আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ক্রিয়েটিভ সামিট ফ্যাব ফেস্ট। শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে।

আয়োজন শেষে ফ্যাব ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে তাদের ৮ দাবি। তারা বলছে, ফ্যাব ফেস্ট হলো আক্ষেপের বদলে পদক্ষেপের শুরু।

ঘোষণাপত্রে তারা বলেন, 'ফ্যাব মূলত চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, শিল্প নির্দেশক, পোশাক- সাজ নির্দেশক, চলচ্চিত্র-নাটক-কনটেন্ট নির্মাতা, অ্যাকাডেমিক্স, অ্যাসোসিয়েশনস, মিডিয়া ও শিল্প-সংস্কৃতিজনদের একটি প্ল্যাটফর্ম। বলা যেতে পারে, ফ্যাব দৃশ্যকলাসংক্রান্ত একটি চিন্তাকেন্দ্র। এটি মূলত কাজ করবে চলচ্চিত্র ও দৃশ্য শিল্পের অনুশীলন, অধ্যয়ন ও নীতি নবায়নের লক্ষ্যে।

ফ্যাব বলছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও আমরা কি আমাদের সংস্কৃতিকে সৃজনশীল অর্থনীতির (ক্রিয়েটিভ ইকোনমি) অংশ করে তুলতে পেরেছি? ফ্যাব ফেস্টের দাবিগুলো হলো-

১. আমরা বাংলার সিনেমা ও দৃশ্যশিল্পের সব মাধ্যমে গল্প বলার এবং শিল্পচর্চার স্বাধীনতা চাই।

২. দৃশ্যশিল্পে গল্প বলা একটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বটে। আমরা এই দৃশ্য-সংস্কৃতিকে সৃজনশীলতার অর্থনীতিতে পরিণত করার কাঠামো চাই। এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো, নীতিমালা, স্বীকৃতি-সর্বোপরি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত সব শাখার পেশাগত অবকাঠামো চাই।

৩. বাংলার চলচ্চিত্র এবং দৃশ্যশিল্পের বিকাশে হয়ে যাওয়া সব সেশনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই- অবিলম্বে একটা ফিল্ম কমিশন গঠনের পদক্ষেপ নিতে হবে। যেটি হবে চিন্তা থেকে নির্মাণ হয়ে প্রদর্শনী পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সল্যুশন।

৪. গল্প বলার স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সব আইনি-আমলাতান্ত্রিক-সামাজিক বাধা অতিসত্বর দূর করতে হবে।

৫. সার্টিফিকেশন অ্যাক্ট, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, পর্নোগ্রাফি অ্যাক্ট এবং প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালাসহ সব আইন রিভিউ করতে হবে। আইন রিভিউ করার জন্য সব অংশীজনের মাধ্যমে একটা কমিটি গঠন করতে হবে। সমসাময়িক বাংলার সিনেমা ও কনটেন্টের সম্ভাবনাকে বিবেচনায় রেখে আগামী ২০ বছরের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

৬. সিনেমা ও দৃশ্যশিল্পকে বিনিয়োগবান্ধব করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন, সংশোধন ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. সেন্সর প্রথার কারণে নানা সময়ে অনেক চলচ্চিত্রকে ছাড়পত্র না দিয়ে দিনের পর দিন আটকে রাখার নমুনা হাজির আছে। সাম্প্রতিক সময়ে শনিবার বিকেল ছাড়পত্র না পাওয়ার একটা বড় উদাহরণ তো আছেই। সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা শনিবার বিকেলসহ সব চলচ্চিত্রের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হোক।

৮. নানা অনুভূতিতে আঘাতের দোহাই দিয়ে নির্মাতা, শিল্পীদের গ্রেপ্তার, আইনি হয়রানি এবং নিপীড়নের সংস্কৃতি চালু আছে। যদি কোনো শিল্পীর নামে এরূপ কোনো মামলা কিংবা আইনি অভিযোগ এসেও থাকে, তবে একটা কমিটি গঠন করে ডিস্পিউট ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এর ব্যতিরেকে কোনো শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর