দেশের মডেলিং জগতের পরিচিত নাম মেঘলা মুক্তা, তবে নামটি প্রথম আলোচিত হয় ২০১৮ সালের শুরু দিকে। সেসময় জানা যায়, বাংলাদেশের মেয়ে মেঘলা মুক্তা ভারতের তেলেগু সিনেমায় কাজ করছেন। ২০১৯ সালে দেশটির একাধিক রাজ্যে মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমাটি। এবার দেশের পর্দায় অভিষেক হলো তার।
গত ২৩ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ফরিদুর রেজা সাগর প্রযোজিত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের সিনেমা পায়ের ছাপ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা সাইফুল ইসলাম মান্নুর পরিচালিত এই সিনেমাটি দিয়েই দেশের সিনেমায় অভিষিক্ত হলেন মেঘলা মুক্তা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, খুলনাসহ দেশের মোট ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় পায়ের ছাপ। এরইমধ্যে মুক্তির এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এই সময়ে কেমন সাড়া পেল আর দর্শকমনে কতটা ছাপ ফেলতে পারল নারী কেন্দ্রীক গল্পের সিনেমাটি?
এসব নিয়েই নিউজবাংলার সঙ্গে অনুভূতি প্রকাশ করলেন সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করা অভিনেত্রী মেঘলা মুক্তা।
অভিনেত্রী মেঘলা মুক্তা। ছবি: সংগৃহীত
কেমন সাড়া
আমি আসলে যতটুকু আশাবাদী ছিলাম, প্রথমদিনে আমি যেরকম দর্শক আশা করেছিলাম, সেরমকই পেয়েছি, দ্বিতীয় দিন থেকে যেরকম দর্শক আশা করিনি তার চেয়ে বেশি দর্শক পেয়েছি। আমাদের সিনেমাটি আসলে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি, আমি নিজেও করিনি। এটা আর্ট ফিল্ম বলা যাবে না, আবার কমার্শিয়ালও বলা যাবে না, এটা সেমি কমার্শিয়াল একটা মুভি।
সেই জায়গা থেকে কিছু টার্গেট সিলেক্টেড অডিয়েন্স আমি ভেবেছিলাম, কিন্ত এক-দুইদিন সিনেমাটি হলে যাওয়ার পরে দর্শক বেড়ে গেছে। আর প্রচুর ভালো রিভিউ পাচ্ছি এবং যত রিভিউ পাচ্ছি খুব পজিটিভ পাচ্ছি। সেইদিক থেকে আসলে আমি যতটুকু আশাবাদী ছিলাম, আমার কাছে মনে হয় আমি তার চেয়ে বেশি পেয়েছি।
নারী কেন্দ্রিক গল্পের প্রধান চরিত্র দিয়ে শুরু
এ ক্ষেত্রে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কারণ একজন শিল্পী যখন কাজ শুরু করেন, তারা এ ধরনের একটি চরিত্র হয়তো অনেক পরে গিয়ে করে থাকেন। আর এ ধরনের একটি চরিত্র দিয়েই নিজের অভিষেক ঘটেছে এ আমার জন্য আশীর্বাদ।
আর আমার প্রথম সিনেমাটিই ইমপ্রেস টেলিফিল্মের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন পরিচালকের হাত ধরে আমার অভিষেক ঘটেছে; আমি আসলেই আশা করিনি এত সুন্দরভাবে নিজের দেশে আমার অভিষেক ঘটবে।
অভিনেত্রী মেঘলা মুক্তা। ছবি: সংগৃহীত
গল্প বাছাই
আমি বরাবরই গল্পকে প্রাধান্য দিয়ে ভাবি। আগামীতেও তাই চেষ্টা করব। আমাকে যখন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে ডাকা হয়েছিল অডিশনের জন্য, আমি তখন সবার আগে দেখেছি গল্প। তারপর অডিশন দিয়ে আমি বাসায় বসে দোয়া করছিলাম আমি যেন এই সিনেমাটি পাই।
নতুন কোনো খবর
বেশ কিছু সিনেমার কথা হচ্ছে। সেটা তেলেগুতেও হচ্ছে, দেশেও হচ্ছে। কিছু ওটিটির কথাও হচ্ছে। আমি আশা রাখছি বছরের শুরুতেই অফিশিয়ালি বেশ কিছু খবর জানাতে পারব।