প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে হল মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়ার ঘোষণা অনেক আগেই দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু সেই তহবিল থেকে এখনও ঋণ নেননি প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। তবে ঋণ পাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিক সমিতির অনেকেই।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস নিউজবাংলাকে জানান, ঋণ পাওয়ার বিষয়টি অনেকদিন স্থবির ছিল, তবে সম্প্রতি এটি আবার গতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথমদিকে ৩৪টি প্রজেক্ট জমা দিলেও সম্প্রতি ১০টি প্রজেক্টকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকের আগে থেকেই প্রেক্ষাগৃহ আছে। কয়েকজন আছেন যারা নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ করতে চান।’
১০টি প্রকল্পের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানান সুদীপ্ত। অগ্রণী ব্যাংকের লোন বিভাগের ডিজিএম করিম মিয়া নিউজবাংলাকে তথ্যের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
করিম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটি সভা হয় সপ্তাহখানেক আগে। সেই সভার পর আমরা ১০টি প্রকল্প নিয়ে আগাচ্ছি। ১০টি প্রকল্প প্রদর্শক সমিতি থেকেই নির্বাচন করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি এবং নিয়মিত ফলো-আপ করছি। সেখান থেকে কাগজ আসলে জোনাল ও সার্কেল ডিভিশনের পরামর্শ নিয়ে আমরা প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ শুরু করব।’
সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, ১০টি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। সেই ১০টি প্রকল্প হলো- হিরক সিনেপ্লেক্স (গাইবান্ধা), সনি সিনে কমপ্লেক্স (গাইবান্ধা), উর্বশী সিনে কমপ্লেক্স (ফুলবাড়ী), জিকো সিনেমা হল (নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম), ঝংকার সিনেপ্লেক্স (ধুনট, বগুড়া), ডিএ তায়েব সিনেপ্লেক্স (মির্জাপুর, টাঙ্গাইল), প্রিমরোজ সিনেপ্লেক্স (মৌলভীবাজার সদর), সামি সিনেপ্লেক্স (ভালুকা, ময়মনসিংহ), মনিকা সিনেমা হল (শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ), জয় সিনেপ্লেক্স (ভানুগাছ, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার)।