তার গানে প্রেম, বিরহ যাপন করেছেন হাজারও তরুণ। আবার তারই গানে সমাজ, রাজনীতি, বিদ্রোহ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আগুন খুঁজেছেন অনেক স্বপ্নবাজ।
বলছি কবি, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সাংবাদিক, নাট্যকার ও সংগঠক সঞ্জীব চৌধুরীর কথা।
সব্যসাচী প্রয়াত সেই মানুষটির জন্মদিন আজ। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে চলে যাওয়া মানুষটি বেঁচে থাকলে আজ ৫৮ বছর পূর্ণ হতো।
সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিনে তার স্মরণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘একাদশ সঞ্জীব উৎসব ২০২২’। রোববার এ উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে।
২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ’ আয়োজন করে আসছে এ উৎসব।
বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে আয়োজন চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এতে একাধিক ব্যান্ড ও শিল্পীর পরিবেশনা থাকবে।
শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন লিমন, লাবিক কামাল গৌরব, জয় শাহরিয়ার, আরমীন মুসা, বাংলা ফাইভ, সন্ধি, সালেকিন, শুভ্র, রিয়াদ হাসান, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, দুর্গ, কোলস্লো, অর্ঘ্য, রাফসান, লিসান পলাশ ও পিজু।
সব্যসাচী সঞ্জীব বেশি সাধারণের হয়ে উঠেছিলেন তার গানের মাধ্যমে। সংগীতে নানাভাবে পাওয়া গেছে তাকে।
‘আমি ঘুরিয়া ফিরিয়া সন্ধান করিয়া, স্বপ্নের ওই পাখি ধরতে চাই’ গানটিতে পাওয়া যায় স্বপ্নবাজ এক সঞ্জীবকে।
আবার ভালোবাসার মধুর স্মৃতি মনে করে তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ।’
‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে’, ‘হাতের ওপর হাতের পরশ’, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘হৃদয়ের দাবি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’সহ অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে সঞ্জীবের। এসব গানেই তার স্বপ্ন ও কথা বয়ে বেড়ান এ প্রজন্মের তরুণেরা।
তাই তো এখনও কোনো তরুণ প্রাণের আড্ডায় বা মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় শোনা যায়, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো/কী যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে/ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া।’
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম সঞ্জীব চৌধুরীর। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাই লেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।