মহান বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত পুরো দেশ। সারা দেশেই সরকারি, বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে আয়োজন রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে রয়েছে আয়োজন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাজার কণ্ঠে দেশগান।
করোনাভাইরাস মহামারী কাটিয়ে আবারও বিজয় দিবসে ‘দেশগান’ গাইবার আয়োজন করতে যাচ্ছে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে এ আয়োজন।
করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও আয়োজনটি হতে যাচ্ছে। মিলিত কণ্ঠে দেশের গান গাইতে আয়োজনটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
আগ্রহীরা আয়োজনে অংশ নিতে চাইলে অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকবেন দোয়েল চত্বর সংলগ্ন সুইমিং পুল গেট দিয়ে। সাংবাদিক, আয়োজক, শিল্পী ও তাদের সঙ্গী মাঠে প্রবেশ করবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন জিমনেশিয়াম গেট দিয়ে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিজয় উৎসব চলছে। ‘স্পর্ধায় তাড়াব ধেয়ে আসা কালো’ স্লোগান নিয়ে উৎসব শুরু হয় ১৩ ডিসেম্বর।
বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর, রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর ৬ নম্বর মুকুল ফৌজ মাঠ, দনিয়া মাসুদ মঞ্চ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি মাঠ, উত্তরা বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ এবং পূর্বাচল জয় বাংলা স্কয়ারে হবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান। আর মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠে বিকেলে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হবে ম্যাড থেটারের তৃতীয় প্রযোজনা ‘অ্যানা ফ্রাঙ্ক’ নাটক। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকটি মঞ্চস্থ হবে রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির মঞ্চে।
রাজধানীর হাতিরঝিল এমফিথিয়েটারে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বিজয় উৎসব। চ্যানেল আই ও গানবাংলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজনটি হবে তারকাবহুল।