বিজয় দিবস উদযাপন আয়োজনে হাজার কণ্ঠে দেশগান পরিবেশনার শুরু ২০১৫ সাল থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজনটি করে আসছে ছায়ানট। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর আয়োজনটি হয়নি।
এ বছর আবারও বাঙালির পূর্ণাঙ্গ বিজয়ের ক্ষণকে গর্বভরে স্মরণ করে আপামর বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনটি গেয়ে উঠতে চায় ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।
মঙ্গলবার ছায়ানট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে হাজারও কণ্ঠে দেশগান আয়োজন।
আয়োজনটি উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান এবং ছায়ানটের সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল। অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে দীপ্ত টেলিভিশন।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহামেদ লিসা জানান, এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নৃত্যসহ ৯টি সম্মেলক গান, দুটি একক গান (বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে) এবং দুটি পাঠ নিয়ে।
শামসুর রাহমানেরস্বাধীনতা তুমি এবং আবু হেনা মোস্তফা কামালের ছবি কবিতা আবৃত্তি করবেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, একক গান গাইবেন নাসিমা শাহিন ফ্যান্সি ও সুমন মজুমদার।
দেশগানগুলো বেছে নেয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাস, গোবিন্দ হালদার, আবদুল লতিফ, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, মোহাম্মদ মোশাদ আলী, মীরা দেববর্মণ এবং শাহ আবদুল করিমের রচনা থেকে।
নৃত্য পরিবেশিত হবে–আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে, এখন আর দেরি নয়, চল্ চল্ চল্, সঙ্ঘ শরণ তীর্থযাত্রা, বাংলার হিন্দু বাংলার বৌদ্ধ বাংলার খ্রিষ্টান বাংলার মুসলমান, সামাল সামাল সামাল ওরে সামলে তরী বাইয়ো, বলো বলো রে বলো সবে বলো রে বাঙ্গালির জয়, আমি টাকডুম টাকডুম বাজাই,লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা সম্মেলক গানের সঙ্গে।
ছায়ানটের শিল্পী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে এবারের আয়োজনে যুক্ত আছে থার্টিন হুসার্স ওপেন স্কাউট গ্রুপ, অরণী বিদ্যালয়, আজিমপুর গার্লস হাইস্কুল, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, একাডেমিয়া, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, নালন্দা বিদ্যালয়, সাউথ ব্রীজ স্কুল, সানবীমস, সানিডেল এবং ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
মিলিত কণ্ঠে দেশের গান গাইতে সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত রাখা হবে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের দোয়েল চত্বর সংলগ্ন সুইমিং পুল গেট। সাংবাদিক, আয়োজক, শিল্পী ও তাদের সঙ্গী মাঠে প্রবেশ করবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন জিমনেশিয়াম গেট দিয়ে। আয়োজনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।