‘প্রতিমুহূর্তে প্রতিটি দেশ কিন্তু সাইবার-ঝুকির মধ্যে আছে। আগামী দিনে সাইবার নিরাপত্তায় আমাদের তরুণরা যেন উৎসাহী হয়, দেশের মানুষ যাতে সচেতন হয় সে উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে অন্তর্জাল যার ইংরেজি ইন্টারনেট, এই সিনেমাটি নির্মাণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি।’
অন্তর্জাল সিনেমা নির্মাণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে এভাবেই বললেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সিনেমার পোশন পোস্টার প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্জাল সিনেমার পরিচালক দীপংকর দীপন, অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিম, সিয়াম, সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অনেকে।
সিনেমাটি নিয়ে দীপঙ্কর দীপন বলেন, ‘আমি আইটি নিয়ে কিছুই জানতাম না। এ সিনেমা করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। সিনেমাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমি নজর রেখেছি যেন টেকনিক্যাল ভুল না করি।
‘আইটির মতো বিষয়টিকে অথেনটিকভাবে দর্শকদের সামনে আনার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি যেন সব ধরনের মানুষ আইটির মতো বিষয়টাকে সহজে বুঝতে পারেন।’
শেষে দীপর দর্শকদের প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি এমন সিনেমা বানাতে চান না যা দেখতে দেখতে দর্শকদের ঘুম চলে আসে।
আয়োজনে সিনেমার একটি টিজার দেখানো হয়। তবে সেটি এখনও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়নি। চরিত্রদের পরিচয় ও লুকও প্রকাশ করা হয় অনুষ্ঠানে।
সিনেমায় এবিএম সুমন অভিনয় করছেন এএসপি রাইহান চরিত্রে যে কি না, সিআইডি অফিসার। বিদ্যা সিনহা মিমের চরিত্রের নাম নিশাত, তিনি একজন সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট। প্রিয়ম চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, তিনি রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ার। মাশরুরু ইনান (কিটো ভাই) আছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার চরিত্রে, যার নাম সাদাফ এবং লুমিন চরিত্রে সিয়াম আহমেদ। তাকে দেখা যাবে প্রোগ্রামার হিসেবে।
অনুষ্ঠানে মিম বলেন, ‘আমি খুবই লাকি। কারণ বাংলাদেশে এ রকম সিনেমা হয় নাই এবং আমি সেই সিনেমায় অভিনয় করতে পেরেছি। আশা করছি নতুন এক মিমকে দেখতে পারবেন দর্শকরা।’
সিয়াম বলেন, ‘সিনেমায় লুমিন রাজশাহীর একটা ছেলে। যে খুবই মেধাবী। সাধারণত কী হয়, মেধাবীরা দেশের বাইরে পড়তে চলে যায়। লুমিনেরও সেই সুযোগ ছিল। কিন্তু সে দেশের বাইরে না গিয়ে একটি সাঁওতাল পল্লিতে চলে যায় এবং সেখানকার তরুণদের প্রোগ্রামিং শেখায়।’
সুনেরাহ বলেন, ‘আমার কাছে যখন সিনেমাটা আসে, আমি ভেবেছিলাম এটা খুবই কমার্শিয়াল সিনেমা। স্ক্রিপ্ট যখন পড়ি, তখন সবগুলো চরিত্র আমার এত ভালো লাগে যে আমার মনে হচ্ছিল সব চরিত্রই আমি করি। আমার যে চরিত্র, সেটা পড়ার পর আমি তো স্বপ্নেও রোবট দেখছিলাম। আমাদের কাজটা খুবই সুন্দর হয়েছে।’
মাশরুরু ইনান (কিটো ভাই) বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে দীপঙ্কর দীপন আমাকে ফোন করে সিনেমার অফার দিচ্ছেন। সিনেমাটা করতে গিয়ে সবার সাহায্য পেয়েছি। আমার বেশ কিছু কাজ আছে সিনেমায়, তবে মজার কাজ হলো গ্যাঞ্জাম ঠেকানো।’
আসন্ন ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা আছে বলে জানান দীপংকর দীপন। তিনি এ-ও জানান যে অন্তর্জাল সিনেমাটি সম্পূর্ণ দেশীয় স্বকীয়তায় নির্মিত।