বহুল আলোচিত ২০০ কোটি রুপি অর্থ পাচার মামলার কাণ্ডে এবার জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন নোরা ফাতেহি।
দিল্লির একটি আদালতে সোমবার এই মামলা করেন নোরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে ই-টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘বিদ্বেষমূলক কারণে’ এবং ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছেন নোরা।
নোরার মতে, যেহেতু দুজনই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন, জ্যাকলিন নিজের স্বার্থকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এবং নোরার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য মানহানি করার চেষ্টা করেছেন।
নোরার আরও দাবি, জ্যাকলিন একটি ফৌজদারি মামলায় নিজের সম্পৃক্ততা থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, যার সঙ্গে একেবারেই সম্পর্কিত নন নোরা।
নোরা ফাতেহির আইনজীবী বিক্রম চৌহান অভিযোগে বলেছেন, ‘জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ একজন অভিনেত্রী এবং তিনি চলচ্চিত্র জগতে বেশ পরিচিত। তাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত করেছে। একই অভিযোগ বিদ্বেষমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে (নোরা ফাতেহি) করা হয়েছে।
‘জ্যাকলিন তার নিজের স্বার্থের জন্য নোরা ফাতেহির ক্যারিয়ার ধ্বংস করার চেষ্টায় অপরাধমূলকভাবে মানহানি করেছেন, যেহেতু নোরাও বলিউডে রয়েছেন।’
এ ছাড়াও জ্যাকলিনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য কয়েকটি মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন নোরা। ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি অর্থ পাচার মামলায় নোরাকে ২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মামলার সাক্ষী হিসেবে একাধিকবার জ্যাকলিন ও নোরার বক্তব্য রেকর্ড করেছে ইডি।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর নোরাকে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ (ইওডব্লিউ) শাখা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ ছাড়া গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর ও ১৪ অক্টোবর প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ধারা ৫০-এর অধীনে নোরার বক্তব্য রেকর্ড করেছিল ইডি।
এদিকে এই অর্থ পাচার মামলার মূল হোতা সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনকে অভিযুক্ত করে গত ১৭ আগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। সম্প্রতি জামিনও পেয়েছেন অভিনেত্রী।