বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিমলার ইতিহাসে প্রথম সিনেমা, প্রযোজক দেশের আরিফ-বিজন

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:৩৩

আরিফ-বিজনের সব শেষ সিনেমা ‘আমার কলোনি’ ভারতের সিমলার ইতিহাসের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এর রাইটার-ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ চৌহানেরও এটা ডেবিউ ফিচার ফিল্ম।

আরিফুর রহমান ও বিজন ইমতিয়াজ স্কুল জীবনের বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তারা আলাদা হয়ে গেলেও সিনেমা তাদের এক সুতায় গেঁথে রেখেছে।

আরিফ বাংলাদেশে এবং বিজন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দূরত্বে থেকেও তারা প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুপী বাঘা প্রডাকশনস। এর ব্যানারে তারা প্রযোজনা করে চলেছে দেশে-বিদেশের সিনেমা।

তাদের সব শেষ সিনেমা ‘আমার কলোনি’ ভারতের সিমলার ইতিহাসের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এর রাইটার-ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ চৌহানেরও এটা ডেবিউ ফিচার ফিল্ম।

আরিফ নিউজবাংলাকে বলেন, "সিদ্ধার্থ চৌহানের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১৮ সালে ভারতের গোয়া ফিল্ম বাজারে। বিখ্যাত ফিল্ম প্রোগ্রামার-ফিল্ম ক্রিটিক পাওলো বার্তোলিন আমাকে গল্পের ছলে বলেন, ‘আই নো হোয়াট ইউ আর লুকিং ফর হিয়ার, ইউ শুড লিসেন সিদ্ধার্থ চৌহান’স স্টোরি।"

এরপর আরিফ শোনেন সিদ্ধার্থ চৌহানের গল্প এবং প্রেমে পড়ে যান। তখন থেকেই শুরু হয় যায় ‘আমার কলোনি’ সিনেমার যাত্রা।

আরিফ জানান, এক দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ জার্নি শেষে ২০২২-এ তালিন ব্ল্যাক নাইট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় সিনেমাটির এবং প্রথম ফেস্টিভ্যালেই বাজিমাত করে ‘আমার কলোনি’ জিতে নেয় স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড।

এ বছর উৎসবে আন্তর্জাতিক এবং বিশ্ব প্রিমিয়ার হয় ১৪০টিরও বেশি সিনেমার। ডিসেম্বরে ‘আমার কলোনি’ ভারতের কেরালা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হচ্ছে।

‘আমার কলোনি’ একটি ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ কো-প্রোডাকশন সিনেমা। ইন্ডিয়া থেকে এ সিনেমার প্রযোজক নিশীথ কুমার এবং তার কোম্পানি আইএফসি (ইন্ডি ফিল্ম কালেক্টিভ) এবং বাংলাদেশ থেকে গুপী-বাঘা প্রডাকশনস লিমিটেড।

গুপী-বাঘার প্রযোজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া-ফ্রান্স-নেপাল কো-প্রোডাকশন সিনেমা ‘দ্য সাইলেন্ট ইকো’ এখন পর্যন্ত ট্রাভেল করেছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং জিতে নিয়েছে ‘রেইনড্যান্স’ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বেস্ট সিনেমাসহ আরও অনেক পুরস্কার। ছবিটি এ বছর অস্কারের জন্য লড়ছে বলে জানান আরিফ।

শুধু বিদেশি সিনেমাই না, বিজনের পরিচালিত ‘মাটির প্রজার দেশে’ সিনেমা প্রযোজনার পর আরিফ এখন প্রযোজনা করছেন তারই দ্বিতীয় সিনেমা ‘পেরাডাইস’ এবং নুহাশ হুমায়ূনের ডেবিউ ফিল্ম ‘মুভিং বাংলাদেশ’।

প্রযোজনার পাশাপাশি আরিফ পরিচালনা করছে তার ডকুমেন্টারি ছবি ‘দ্য সিঙ্কিং আইল্যান্ড’। সিনেমায় তার ডিরেক্টিং পার্টনার ভারতের বিখ্যাত ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার সৌরভ সারাঙ্গি এবং আরিফ কেএ প্রজেক্টে প্রযোজনা করছে বিজন ইমতিয়াজ।

এ বিভাগের আরো খবর