দাঙ্গা, ত্রাস, চাঁদাবাজ, সিপাহী, দেশদ্রোহী, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান-এর মতো জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমার পরিচালক কাজী হায়াৎ। বুধবার প্রকাশ পেয়েছে তার ৫১তম সিনেমা জয় বাংলা-এর ট্রেইলার।
ইউটিউবে ট্রেইলারটি দেখে মন্তব্যের ঘরে এক দর্শকের মন্তব্য, ‘কাজী হায়াতের আর পরিচালনা না করাই ভালো’।
আগে বেশ কিছু ভালো সিনেমার জন্য কাজী হায়াতের নাম এমনিতেই দর্শকের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে উল্লেখ করে সেই মন্তব্যকারী আরও লেখেন, ‘২০২২ এ এসেও এমন ট্রেইলার দেখতে হলো,,, তবুও মুক্তিযুদ্ধের সিনামায়। বারবার এরকম বস্তাপচা কুখাদ্য উপহার দিলে মানুষ তো মনে রাখবেই না উল্টো গালি দেবে।’
১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের গল্পে গড়ে উঠেছে জয় বাংলা সিনেমার গল্প। ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক মুনতাসীর মামুনের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’ অবলম্বনে করা হয়েছে সিনেমাটির চিত্রনাট্য। এতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী ও জাহারা মিতু।
সিনেমার ট্রেইলার দেখে অনেকে পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানালেও অপছন্দের মন্তব্যের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।
জয় বাংলা সিনেমাটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এক মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘এইভাবে সরকারি টাকার অপচয় না করলেই পারতো’।
ট্রেইলার দেখার পর আরও কিছু দর্শকদের মন্তব্য এমন-
‘সব্বোনাশ এগুলোই দেখার বাকি ছিলো আফসোস’।
‘অস্থির ট্রেইলার! স্যালুট বাংলাদেশের সিনেমা হর্তাকর্তাদের, যাদের সই-তে (স্বাক্ষরে) এই সিনেমা আলোর মুখ দেখলো। হাহা রিয়েক্টটা থাকলে খুব ভালো লাগতো’।
‘এটা নাটকের চেয়েও জঘন্য’।
‘২ মিনিট ২৬ সেকেন্ড ফিরিয়ে দেন আমার’।
‘এইসব মুভি প্রডিউসার কীভাবে টাকা উঠায়’।
‘অখাদ্য’।
ট্রেইলারের ৪৮ সেকেন্ডে দেখা যায় অভিনেতা বাপ্পী তার দুই সহশিল্পীকে নিয়ে কাঁচা রাস্তায় হাঁটছেন আর গাইছেন ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’ গানটি। এর ওপরে ব্যবহৃত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে নদীর ওপর ব্রিজ বানানোর জন্য পিলার বানানো হয়েছে।
এমন দৃশ্য দেখে এক মন্তব্যকারী লিখেছেন, ’৭১ সালে পদ্মা ব্রিজ আসলো কোথা থেকে’।
টুঙ্গিপাড়া চলচ্চিত্রের ব্যানারে নির্মিত প্রথম এ সিনেমাটির প্রযোজক মিটু সিকদার। চলতি মাসেই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।