বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনেপ্লেক্সের ১৮ স্ক্রিন চালু রাখার মতো সিনেমা কোথায়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৭

একেবারে না হলেও, স্টার সিনেপ্লেক্স ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ রাজশাহী, খুলনা, বগুড়াতেও শাখা নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে। ঢাকার উত্তরাতে শাখা চালু করার পরিকল্পনা আছে তাদের।

ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো শাখা খুলেছে দেশের আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স। শনিবার থেকে চট্টগ্রামে চালু হয়েছে ৩টি স্ক্রিন।

ঢাকার ৫টি শাখার সঙ্গে যুক্ত হলো চট্টগ্রামের একটি। মোট ৬টি শাখায় স্টার সিনেপ্লেক্সের স্ক্রিনের সংখ্যা ১৮টি। সবগুলো স্ক্রিন ভালোভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন সিনেমা। কিন্তু সেই সিনেমা কি আছে?

স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান নিউজবাংলাকে স্পষ্টভাবে জানালেন, দেশের সিনেমার পাইপলাইনে তেমন কিছু দেখছেন না তিনি।

চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের ভেতরের সজ্জা। ছবি: নিউজবাংলা

মাহবুব রহমান বলেন, ‘হলিউড পাইপলাইনে মোটামুটি ভালো সিনেমা আছে। আমি পার্সোনালি চিন্তা করছি যে, বাংলাদেশে পাইপলাইনে ভালো কোনো সিনেমা নেই। সে কারণে কিন্তু আমরা নিজেদের প্রোডাকশনের জন্য তাড়াহুড়ো করছি। অনেকেই হয়তো কাজ করবে, কিন্তু আমি পাইপলাইনে কিছু দেখছি না।’

চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবারই চাওয়া, সারা দেশে সিনেপ্লেক্স হোক। বিভিন্ন সভায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা ইস্যুতে কথা বলার সময় তারা এ দাবি জানিয়েছেন। সারা দেশে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সরকারের কাছেও আরজি জানিয়ে আসছেন পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির নেতারা।

একেবারে না হলেও, স্টার সিনেপ্লেক্স ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ রাজশাহী, খুলনা, বগুড়াতেও শাখা নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে। ঢাকার উত্তরাতে শাখা চালু করার পরিকল্পনা আছে তাদের।

কিন্তু দেশে ভালো সিনেমা নির্মাণ না হলে বেশি স্ক্রিন বানিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। মাহবুব রহমান জানান, তাদের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা ছিল মহামারির (কোভিড-১৯) সময়। ওই সময় প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দিতে হবে ভেবেছিলেন তারা। লস দিয়ে হলেও ধরে রেখেছিলেন সে সময়।

মাহবুব রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মানুষ হলে ফিরে আসবে, এটা আমার বিশ্বাস ছিল এবং এটা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দুটো সিনেমা আমাদের লস থেকে অনেক তুলে দিয়েছে। মানুষের মধ্যে এটা আছে যে, একসঙ্গে সিনেমা দেখা, আনন্দ করা। এটা সব সময় থাকবে।’

চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের ভেতরের সজ্জা। ছবি: নিউজবাংলা

মাহবুব আরও বলেন, ‘মানুষ বিনোদনটা চায়। সিনেমা দেখা, এটা এত ব্যয়বহুল কিছু না। সময় কাটানোর জন্য এটা কস্ট ইফেকটিভ একটা সল্যুশন। আমার ধারণা যে মানুষ তাদের দুঃখ-ব্যথাগুলো ভুলে যাওয়ার জন্য সিনেমা দেখবে এবং এন্টারটেইনমেন্ট কিন্তু সব সময় আমাদের দরকার যতই সমস্যা থাকুক না কেন।’

২০২৩ সাল খারাপ যেতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। সারা বিশ্বেই হতে পারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। সে সময়ও বিনোদনটা ধরে রাখা উচিত বলে মনে করেন মাহবুব। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘মানুষকে আশা দেয়ার জন্য হলেও বিনোদনটা রাখা উচিত। আমরা একটা ভালো সময় ফিরব।’

এ বিভাগের আরো খবর