কারও সঙ্গে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে, খুঁজে পায় বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ, তারই আখ্যান পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আম-কাঁঠালের ছুটি।
শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে শিশুতোষ ঘরানার সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।
নির্মাতা মনে করেন, গত শতাব্দীর সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন তারা তাদের নস্টালজিক আবহটা আম-কাঁঠালের ছুটি সিনেমায় পাবেন।
সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের সঙ্গে পরিচিত হবে বলে মনে করেন তিনি।
আম-কাঁঠালের ছুটি সিনেমার দৃশ্য। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় জগজা নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১৭তম আসরের এশিয়ান পারস্পেক্টিভ বিভাগে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে সিনেমাটি। ২৬ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
নির্মাতার পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এশিয়ান সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করা চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজিত উৎসবের এ বছরের থিম ‘ব্লুসম’ বা প্রস্ফুটন। এশিয়া মহাদেশের প্রতিষ্ঠিত ও উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এ আয়োজনে।
সিনেমাকার প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটির পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়। খুব ছোট একটি কারিগরি ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে করা এই চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন নির্মাতা নিজেই, সঙ্গে ছিলেন ম্যাক সাব্বির। প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইনও করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।
প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছে লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা ও তানজিল। আরও ছিলেন ফাতেমা, কামরুজ্জামান কামরুল, আব্দুল হামিদ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির প্রধান সহকারী পরিচালক যুবরাজ শামীম।
নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান (বাঁয়ে) ও সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ২৭ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ান সময় সন্ধ্যা ৭টায় আম-কাঁঠালের ছুটির ইন্দোনেশিয়ান প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৮টায় থাকবে সিনেমাটির আরও একটি প্রদর্শনী।
জগজা নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে আগামী ২৫ নভেম্বর রাতে জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন আম-কাঁঠালের ছুটির নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।