উপমহাদেশের সংগীতাঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্ম ভুবন ভুলানো এই সংগীতশিল্পীর। বৃহস্পতিবার ৭০তম জন্মবার্ষিকী তার।
এর মধ্যে প্রায় ৬০ বসন্তই সুরের মূর্ছনায় শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন এই গানের পাখি।
৫৮ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে।
১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের জুগনু সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। সিনেমাটির ‘গুড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় ‘সাধের লাউ’ গানের রেকর্ড করেন। এক সে বাড়কার এক সিনেমার গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন।
নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে এক দিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের খুব কম নায়িকাই আছেন, যারা এ জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া গানে ঠোঁট মেলাননি।
রুনা লায়লার মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে, তার বাবার বাড়ি রাজশাহীতে।
এ পর্যন্ত ১৭টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন রুনা লায়লা। শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ৭ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আর ২০১৮ সালে পান শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার।