ইংরেজিতে আ টেল অফ টু সিস্টার্স, বাংলায় নকশিকাঁথার জমিন; আকরাম খান পরিচালিত তৃতীয় সিনেমা। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘আ টেল অফ টু উইডোস’ গল্পের একটি রূপান্তর।
স্বামী-সন্তানের মধ্যে আদর্শিক দ্বন্দ্বের কারণে দুই বোনের করুণ পরিণতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় সৃষ্ট বর্বরতা চিত্রিত হয়েছে আ টেল অফ টু সিস্টার্স সিনেমায়।
নির্মাতা আকরাম খান নিউজবাংলাকে জানান, দুই বোন রাহেলা ও সালেহাকে নিয়ে নানা ঘটনার মধ্য নিয়ে সিনেমা এগিয়ে যাবে তাদের করুণ পরিণতির দিকে।
নকশিকাঁথার জমিন সিনেমার দৃশ্য। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
সিনেমায় রাহেলা চরিত্রে জয়া আহসান এবং সালেহা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া শামস সেওতি। আরও আছেন ইরেশ যাকের, রওনক হাসান, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি, লাবণ্য চৌধুরী, আদ্রিতা ইবনাত খানসহ অনেকে।
পরিচালক গল্পের ধারণা দিয়ে বলেন, ‘গ্রামের কৃষক পরিবারের দুই মেয়ে রাহেলা ও সালেহা। খুব অল্প বয়সেই অন্য এক কৃষক পরিবারের দুই ছেলে সবর (রওনক হাসান) ও জবরের (ইরেশ জাকের) সঙ্গে বিয়ে হয় তাদের। দুই দম্পতিরই হয় ছেলে সন্তান। রাহেলা-সবরের ছেলে রাহেলিল্লাহ এবং সালেহা-জবরের ছেলে সাহেব আলী।
নকশিকাঁথার জমিন সিনেমার দৃশ্য। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
‘মুক্তিযুদ্ধের সময়, রাহেলিল্লাহ তার চাচা জবরের সঙ্গে যোগ দেয় পাকিস্তানপন্থি আধা সামরিক বাহিনীতে। অন্যদিকে সাহেব আলী তার চাচা সবরকে অনুসরণ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়।
‘তাদের নিজেদের ঘর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। অসহায় হয়ে পড়ে দুই বোন রাহেলা ও সালেহা।’
নকশিকাঁথার জমিন সিনেমার দৃশ্য। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
সিনেমাটি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া (আইএফএফআই) চলচ্চিত্র উৎসবে আইসিএফটি-ইউনেস্কো গান্ধি মেডেল অ্যাওয়ার্ড বিভাগে প্রতিযোগিতা করবে। সঙ্গে হতে যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারও।
বুধবার পরিচালক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব সিনেমাটি যেন আরও কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে যেতে পারে। তবে সেটি নিয়ে এত ভাবছি না। আসছে জানুয়ারি মাসে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছি।’
নকশিকাঁথার জমিন সিনেমার দৃশ্য। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। সিনেমার প্রধান দুই চরিত্র রাহেলা ও সালেহার পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের নৃশংসতার মধ্য দিয়ে যাওয়া নারীদের কষ্টের প্রতিফলন। যুদ্ধের ইতিহাসে নারীদের আত্মত্যাগের কথা সবচেয়ে কম স্বীকৃত।’
টিএম ফিল্মসের ব্যানারে ফারজানা মুন্নি প্রযোজিত সিনেমাটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত।