সেন্সরের থাবা নয় বরং বৈশ্বিক পলিসি, প্যারেন্টাল গাইড ও নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আধুনিক ভাবনাকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার সকালে রাজধানীর ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র’ শীর্ষক সেমিনার। সেখানে এসব কথা বলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামুল কবীর, পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, নির্মাতা রায়হান রাফি, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও মৌসুমী হামিদ, চরকির প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা ও পরিচালক রেদওয়ান রনিসহ অনেকে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রভাষক, গবেষক শুভ কর্মকার।
এ গবেষণার উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে-
ক. ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের যাত্রা অনুসন্ধান করা।
খ. ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নির্মিত বা প্রযোজিত চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করা।
গ. ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নির্মিত বা প্রযোজিত বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের নির্মাণ আঙ্গিক বিশ্লেষণ করা।
ঘ. সরকারি নিয়ন্ত্রণহীন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নির্মিত চলচ্চিত্র আধেয়র (বিষয়বস্তু) ‘স্বাধীনতা পর্যালোচনা করা।
গবেষণার প্রশ্ন হিসেবে বলা হয়েছে-
ক. কীভাবে বাংলাদেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হলো?
খ. ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নির্মিত বা প্রযোজিত বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের বিষয় ও নির্মাণ আঙ্গিক কেমন?
গ. সরকারি নিয়ন্ত্রণহীন নির্মিত চলচ্চিত্রের আধেয় কী ‘স্বাধীনতা’র সদ্ব্যবহার করতে পারছে?
প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনায় অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘ওটিটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। ভবিষ্যতে ওটিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নেতৃত্ব দিবে। ওটিটির চলচ্চিত্রের সেন্সরশিপের বিষিয়টি আলোচনা করা বা পরিস্কার করা প্রয়োজন।’
চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ওটিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওটিটির নীতিমালা, প্যারেন্টাল গাইড এবং ব্যবসার পলিসি নির্ধারণে আন্তর্জাতিক নিয়ম, পলিসিগুলো মাথায় রাখা উচিত। আমাদের নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা সাংঘর্ষিক হলে আমাদের কনটেন্টই মার খাবে।’
পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘কোভিডের সময় ওটিটির মাধ্যমে দর্শক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে যারা প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে আসছেন, তাদের একটা বড় অংশ ওটিটি কনটেন্ট দেখা দর্শক। ওটিটি ঘিরে নতুন নতুন নির্মাতা তৈরি হচ্ছে। সেন্সরশিপ দিয়ে বা নীতিমালা দিয়ে এটাকে যেন বাধাগ্রস্থ না করা হয়।’