প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে চলেছে দামাল সিনেমার। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২৮ অক্টোবর। পরাণ সিনেমার সাফল্যের পর নির্মাতা রায়হান রাফি পরিচালিত নতুন সিনেমা; শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, সিয়ামের কারণে সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই ছিল তুমুল আলোচনায়।
এখন প্রশ্ন, কেমন ব্যবসা করছে সিনেমাটি? প্রথম সপ্তাহে ২২ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় দামাল। তার মধ্যে ১২টি প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা।
এগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ ছাড়া অধিকাংশ প্রেক্ষাগৃহেই সিনেমাটির ব্যবসা মোটামুটি। সিনেস্কোপ কর্তৃপক্ষ ভালো ব্যবসার কথা জানিয়েছে।
প্রেক্ষাগৃহ চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের ৫টি শাখা রাজধানীতে। সবগুলো মিলিয়ে প্রতিদিন মোট ১৭টি করে শো চলেছে দামাল সিনেমার। সপ্তাহ শেষে সিনেমাটিকে ‘অ্যাভারেজ’ মার্ক দিয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এক্সপেকটেশন বেশি ছিল।’
রাজধানীর মধুমিতা ও শ্যামলী সিনেমা প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ দামাল সিনেমা দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ‘মোটামুটি’ বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে।
শ্যামলী সিনেমার ম্যানেজার হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যতটা আশা করেছিলাম ততটা সাড়া পাই নাই। সিনেমাটা ফ্যামিলি টানতে পারে নাই।’
সিনেমাটি দ্বিতীয় সপ্তাহেও শ্যামলীতে চলবে বলে জানান তিনি। মধুমিতাতেও সিনেমাটি দ্বিতীয় সপ্তাহে চলার কথা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ কর্তৃপক্ষ নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, প্রথম সপ্তাহে ভালো চলছে দামাল সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহটির নির্বাহী পরিচালক রবি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে আশা করি আরও ভালো হবে। অগ্রিম টিকিট (আগামী সপ্তাহের জন্য) ভালো যাচ্ছে।’
সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাবের চেয়ারম্যান সামিনা ইসলাম দামাল সিনেমার রিভিউ ভালো বলে জানিয়েছেন। তবে সিনেমার দর্শক নেই।
তিনি বলেন, ‘দামাল মোটামুটি চলল (প্রথম সপ্তাহ), দর্শক রিভিউ ভালো, তবে প্রচারের কারণে কিনা জানিনা, হলমুখী না দর্শক।’
সিলেট, খুলনা ও বগুড়ায় ভালো করতে পারেনি দামাল সিনেমা। গ্র্যান্ড সিলেট সিনেপ্লেক্সের বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক আরিফা আফরোজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দামাল সিনেমা ভালো যাচ্ছে না। সিলেটের দর্শকরা বাংলা সিনেমা বেশি পছন্দ করছে না।’
তিনি জানান, সিলেটের দর্শকের একাংশ ইংরেজি সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। তবে গ্র্যান্ড সিলেট সিনেপ্লেক্সে এখনই ইংরেজি সিনেমা প্রদর্শনের পরিকল্পনা নেই।
বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ নিউজবাংলাকে জানান, তাদের গ্রস কালেকশন বেশ খারাপ। তাদের প্রেক্ষাগৃহে প্রথম চারদিন দর্শকদের কোনো রেসপন্সই ছিল না। পরে কিছুটা বাড়লেও তা হতাশাজনক।
খুলনার শংখ সিনেমা হলের ম্যানেজার রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে জানান, সিনেমাটি ভালো, কিন্তু দর্শক নেই।
তিনি বলেন, ‘সিনেমার ব্যবসা ভালো না। দর্শক নাই। যে কয়জন দেখেছেন, তারা ভালোই বলেছে। দ্বিতীয় সপ্তাহ চালাব। দেখি কি হয়।’
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটি পরিবেশনার দায়িত্বে আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। পরিবেশক প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল অজিজের কাছে সপ্তাহ শেষে সিনেমাটির সেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সঠিক হিসাব আমার কাছে নাই এই মুহূর্তে। তবে হাওয়া, পরাণ এর পরে বেস্ট সেল এটা।’