বিয়ের চার মাসের মাথায় যমজ সন্তানের মা হয়েছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার নয়নতারা।
গত ৯ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্তান হওয়ার খবর জানান অভিনেত্রীর স্বামী নির্মাতা ভিগনেশ শিবান।
নিজেদের এমন সুখবর ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানানোর পরপরই আইনি জটিলতায় পড়েন তারকা দম্পতি।
দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্কের পর গত ৯ জুন বিয়ে করেন নয়নতারা-ভিগনেশ। চার মাস পেরোতে না পেরোতেই এ তারকা দম্পতির যমজ পুত্রসন্তানের মা-বাবা হওয়ার খবরে দ্বিধায় পড়ে যান ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের অনেকে অভিনেত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনো ছাপ দেখেননি।
নয়নতারা সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়ে থাকলে আইন মানা হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে তামিলনাড়ু সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেই তদন্ত প্রতিবেদনে বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নয়নতারা ও ভিগনেশ শিবান সারোগেসির নিয়মের লঙ্ঘন করেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই প্রতিবেদনে তামিলনাড়ু সরকার বলেছে, সারোগেট মা যোগ্য বয়সের ছিল।
এতে আরও বলা হয়, ওই নারীর আগে থেকেই এক সন্তান ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে টাকার বিনিময়ে গর্ভধারণ বা কমার্শিয়াল সারোগেসি। নির্দিষ্ট কিছু শর্তেই সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান নিতে পারবেন ভারতীয়রা।
দেশটির ‘সারোগেসি অ্যাক্ট ২০২১’ অনুযায়ী, বিয়ের পরে অন্তত পাঁচ বছর কাটালে কোনো দম্পতি সারোগেসির আবেদন করতে পারে। আর পরিবারের অনুমোদন নিয়ে ২১ বছরের বেশি ও ৩৬ বছরের কম যেকোনো ব্যক্তিকে সারোগেট পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমতি দেয় আইনটি।
এদিকে সম্প্রতি নয়নতারা-ভিগনেশ দম্পতির সারোগেসি নিয়ে তদন্তে বেরিয়ে আসে, ছয় বছর আগেই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন তারা। চেন্নাইয়ের যে হাসপাতালে তাদের যমজ সন্তানের জন্ম হয়, সেখানেও গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্তকারীরা।
তারকা দম্পতিকে ক্লিন চিট দিয়ে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাসপাতালটি ডিম্বাণু প্রতিস্থাপনের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। প্রতিষ্ঠানটি দম্পতির চিকিৎসার বিবরণ এবং সারোগেট মায়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা সংক্রান্ত নিয়মও লঙ্ঘন করেছে।
ভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়া হবে।