বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৫ কোটি বিক্রিতে প্রযোজক পায় ৩ কোটি, বাকিটা যায় কোথায়

  •    
  • ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২৬

খিজির হায়াত তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তো সুপারহিট সিনেমা পরাণ টিকিট সেল করল ১৫ কোটি আর প্রোডিউসার পাইল মাত্র ৩ কোটি। বাকি ১২ কোটি কে নিল, কেন নিল? জাতি জানতে চায়।’

বুধবার সকাল থেকে পরাণ সিনেমার ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ‘রেমন্যান্ট গ্লিম্পস’ নামের একটি ফেসবুক পেজ জানিয়েছে, পরাণ সিনেমা চলছে ১০০ দিন, এর টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি টাকার, প্রযোজকের প্রফিট (মুনাফা) ৩ কোটি, বাজেট ৮৭ লাখ টাকা।

২০১৯ সাল থেকে মানসম্মত বাংলা সিনেমার প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাওয়া পেজটি তথ্যগুলোর উৎস হিসেবে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে।

পেজটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালক খিজির হায়াত খান, রাজিবুল হোসাইন একটি প্রশ্ন তুলেছেন। তারা জানতে চেয়েছেন, ১৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রিতে প্রযোজকের ৩ কোটি টাকা পেলে বাকি ১২ কোটি টাকা কোথায় যায়।

খিজির হায়াত তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তো সুপারহিট সিনেমা পরাণ টিকিট সেল করল ১৫ কোটি আর প্রোডিউসার পাইল মাত্র ৩ কোটি। বাকি ১২ কোটি কে নিল, কেন নিল? জাতি জানতে চায়।’

নির্মাতা রাজিবুল হোসেন লিখেছেন, ‘বেশি সিনেপ্লেক্সের জন্য কান্নাকাটি করবেন না, তারা ডাইনোসর। সিনেপ্লেক্স সংস্কৃতি প্রযোজকদের বেশি টাকা দেয় না এবং সিঙ্গেল স্ক্রিন ডিস্ট্রিবিউশনে অনেক মিডলম্যান আছে! আপনার সিনেমা রিলিজ করার আগে চিন্তা করুন, সিস্টেমটি সিনেমা প্রযোজকদের জন্য উপযুক্ত নয়, যদি না তারা তাদের সিনেমা হল বা প্রজেকশন সিস্টেমের মালিক হন।’

১২ কোটি টাকা কোথায় গেল, জানতে পরাণ সিনেমার পরিবেশন দ্য অভি কথাচিত্রের কর্ণধার জাহিদ হাসান অভির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা।

তিনি বলেন, ‘এটাকে অনেকে কাউন্টার সেল বলে, কেউ গ্রস সেল বলে, কেউ আবার টিকিট বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ বলে। যে হিসাবটি প্রকাশ পেয়েছে, সেটার মধ্যে সরকারের অংশ আছে, প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের অংশ আছে, বুকিং এজেন্টের অংশ আছে, এরপর আমরা টাকাটা পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিটিক বিক্রির ১৫ কোটি টাকার যে হিসাব সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে সেটি মূলত গ্রস সেল রিপোর্ট। ধরেন কোনো টিকিটের দাম ৩০০ টাকা। ভাগাভাগিটা কিন্তু ৩০০ টাকার ওপরে হয় না। সিনেপ্লেক্সে ৩০০ টাকার টিকিটে অ্যাডমিন ফি থাকে একটা, যেটা হয়তো ১২৩ টাকা বা ১০০ টাকা, এটার ওপর ভাগাভাগিটা হয়।’

‘রেমন্যান্ট গ্লিম্পস’ নামের ফেসবুক পেজটির দেয়া তথ্যের সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হয় পরাণ সিনেমার প্রযোজক তামজিদ অতুলের সঙ্গে। তাকে হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো হয় ওই পেজটির পোস্ট করা তথ্য।

তামজিদ অতুল প্রথমে ‘হ্যাঁ’ বললেও পরে লিখে জানান, ‘সিনেমা বাজেট ৮৩ লাখ, প্রফিট (মুনাফা) এখনও ক্যালকুলেট (হিসাব) করা হয়নি এবং টিকিট ১৫ কোটি টাকার বিক্রি নিশ্চিত না।’

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১০ জুলাই মুক্তি পায় সিনেমা পরাণ। মঙ্গলবার সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনীর ১০০ দিন পূরণ করেছে।

সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই ভালো ব্যবসা করছে এবং ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছে এখনও।

পরাণ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এখনও চাহিদা আছে বলেই স্টার সিনেপ্লেক্সের ৪টি শাখায় মোট ৮টি শো চলছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর