বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হল পাচ্ছে না ‘বিউটি সার্কাস’, ‘প্রশাসনিক চাপ’ না ‘দর্শক অনীহা’

  •    
  • ১০ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:৪৪

‘আমি এগুলো নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। সিনেমাটি মুক্তির সময় থেকেই কিছু ঝামেলা তৈরি হচ্ছিল। একটা সিনেমাকে তো কিছু সময় দিতে হয়। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ সংশ্লিষ্টরা সেই সময় দিতে চাইছেন না। কারণ হিসেবে তারা প্রশাসনিক চাপের কথা বলছেন।’

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় সরকারি অনুদানের সিনেমা বিউটি সার্কাস। সিনেমাটি নিয়ে দর্শক মহলে ছিল আলোচনা। এতে জয়া আহসান অভিনয় করায় দর্শক আগ্রহে ছিল সিনেমাটি।

প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি ১৯ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও তৃতীয় সপ্তাহে এসে সিনেমাটি চট্টগ্রামের সুগন্ধা সিনেমা, রাজধানীর ব্লকবাস্টার সিনেমা ছাড়া প্রদর্শিত হচ্ছে না আর কোথাও।

সিনেমাটির পরিবেশক অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুন নিউজবাংলাকে জানান, সিনেমাটি নেমে যাওয়ার অন্যতম কারণ প্রশাসনিক চাপ।

তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। সিনেমাটি মুক্তির সময় থেকেই কিছু ঝামেলা তৈরি হচ্ছিল। একটা সিনেমাকে তো কিছু সময় দিতে হয়। কিন্তু বিউটি সার্কাস সিনেমাকে প্রেক্ষাগৃহ সংশ্লিষ্টরা সেই সময় দিতে চাইছেন না। কারণ হিসেবে তারা প্রশাসনিক চাপের কথা বলছেন।’

‘প্রশাসনিক চাপ’ কারা দিচ্ছে, কীভাবে দিচ্ছে, জানতে চাইলে অনন্য মামুন এ নিয়ে কথা বলতে চাননি। বিউটি সার্কাস সংশ্লিষ্ট কয়েকজন অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জানিয়েছেন, বিউটি সার্কাস সিনেমার সঙ্গে মুক্তি পাওয়া অপারেশন সুন্দরবন সিনেমাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহ সংশ্লিষ্টরা। সেই সিনেমাটিকে এগিয়ে রাখতে ‘অদৃশ্য চাপও’ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।

প্রথম সপ্তাহে অপারেশর সুন্দরবন প্রদর্শিত হয় ৩৫ প্রেক্ষাগৃহে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমাটির প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৫। যেখানে বিউটি সার্কাস সিনেমার প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যা ১৯ থেকে কমে হয় ১১টি।

বিউটি সার্কাস সিনেমার হেড অফ প্রোমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং রুদ্র হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ কথা সত্য একইসঙ্গে অনেকগুলো চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে চলছে। কিন্তু বিউটি সার্কাস যারাই দেখেছেন তারাই চলচ্চিত্রটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রথম থেকেই চলচ্চিত্রটিকে দমন করা হয়েছে। কেন এসব হয়েছে, কীভাবে হয়েছে তা আমরা জানি না। শো না পেয়ে দেশ সেরা চলচ্চিত্রের তারকারাই উল্লেখ করেছেন বৈষম্যের শিকার হয়েছে চলচ্চিত্রটি। যা কাম্য ছিল না। আমরা আশাবাদী যে চাপই থাকুক তা লঘু হয়ে এলে নিশ্চয়ই হল মালিকরা বিউটি সার্কাসকেই বেছে নেবেন।’

তার কিছু আভাসও পাচ্ছেন বলে জানান রুদ্র। বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে সিনেমাটি রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা, সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাব এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপ থিয়েটারে প্রদর্শিত হবে।’

বিউটি সার্কাস মুক্তির সময় এর অভিনেত্রী জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, প্রথম সপ্তাহে স্টার সিনেপ্লেক্সে সন্ধ্যার সময় কোনো শো দেয়া হয়নি।

দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে সন্ধ্যায় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টায় একটি মাত্র শো পায় বিউটি সার্কাস। আর তৃতীয় সপ্তাহে সিনেমাটি আর চলছে না সিনেপ্লেক্সে।

বিষয়টি নিয়ে সেসময় স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘শো টাইম নির্ধারণে নিজস্ব পলিসি ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগায় সিনেপ্লেক্স। তবে দর্শকদের চাহিদার ওপর আর কিছু নেই। যখন যে সিনেমা দেখতে দর্শকদের চাহিদা থাকে, আমরা সেই সিনেমার শো বাড়াই। এমন উদাহরণ অনেক আছে সিনেপ্লেক্সের।’

সোমবার দুপুরে ‘প্রশাসনিক চাপ’ এর বিষয়ে জানতে মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে কথা বললে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, তিনি কোনো ‘প্রশাসনিক চাপ’ দেখছেন না। সিনেমা চলা, না চলা দর্শকের ওপর নির্ভর করে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো প্রশাসনিক চাপের কথা জানি না। আমার এগুলো পোহাতে হয়নি। দর্শক যদি কোনো সিনেমা দেখতে চায়, সেটা কি কোনোভাবে আটকানো সম্ভব?’

এ সময় তিনি পরাণ ও হাওয়া সিনেমার উদাহরণ দেন। তিনি জানান, পরাণ এখনও সিনেপ্লেক্সের ৪টি শাখায় ৮টি শো এবং হাওয়া ৪টি শাখায় মোট ৭টি শো রাখা হয়েছে। সিনেমা দুটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ এখনও আছে বলেই শো রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (২০১৪-১৫ অর্থবছর) ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে হয় এর দৃশ্যধারণ। সার্কাস ও ইতিহাসের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

এ বিভাগের আরো খবর