মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের প্রথম রানারআপ, বীরত্ব সিনেমার অভিনেত্রী নিশাত নাওয়ার সালওয়াকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
অভিনেত্রী বুধবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রাণনাশের হুমকির কথা জানানোর কিছু পর সেটি আবার মুছে দিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে অভিযোগের পর নিউজবাংলা কথা বলেছে অভিনেত্রী সালওয়ার সঙ্গে।
সালওয়া তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘সিলেটের অতি স্বনামধন্য নবাব পরিবারের সন্তান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস আলী খানের পুত্র নবাব আলী হাসিব খান আমাকে উপর্যুপরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। আমার কোনো ক্ষতি হলে তিনি দায়ী থাকবেন।’
এ বিষয়ে জানতে সালওয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হুমকি আমি পাচ্ছি আমার সিনেমা মুক্তির আগে থেকে। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। আমি যখন সম্পর্ক রাখতে চাই নাই, তখনই সে হুমকি দেয়া শুরু করেছে।’
হুমকির ধারণা দিতে সালওয়া বলেন, ‘আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, যদি আমি তার সঙ্গে না থাকি, তাহলে সে আমাকে মেরে ফেলবে। যেহেতু আমরা একটা সম্পর্কে ছিলাম, রিলেশনে থাকলে ব্যক্তিগত অনেক কিছুই থাকে। এখন সে আমাকে কন্টিনিউয়াস হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যে, আমি যদি তার সঙ্গে না থাকি তাহলে সেগুলো সে পাবলিক করে দেবে এবং ভাইরাল করে দেবে।’
সালওয়া জানান, তিনি ও নবাব আলী হাসিব খান দুজনেই সিলেটের। তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে দুই পরিবারই জানত। বছরখানেক হলো তারা সম্পর্কে জড়ান এবং গত ছয় মাস থেকে আর সম্পর্কে নেই।
সালওয়া বলেন, ‘সে আমাকে অনেক আগে থেকেই মানসিক নির্যাতন করত। সিনেমা মুক্তির পর তার টর্চার আরও বেড়ে গেল। আমি পা ফেলতে গেলেও সে আমাকে টর্চার করে। এভাবে তো মানুষ বাঁচতে পারে না। তো যখনই আমি বলেছি যে আমি আর সম্পর্ক কন্টিনিউ করতে চাই না, তখনই সে আমাকে এ ধরনের টর্চার শুরু করেছে।’
পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান সালওয়া। তিনি বলেন, ‘আমি তার বোনকে জানিয়েছি বিষয়টি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে আমি কোনো রেসপন্স পাইনি। তারা আমাকে বলেছে, হাসিব তো রাগ করে বলেছে।’
এমন অবস্থায় নিরাপদ বোধ করছেন না সালওয়া। তিনি জানান, আইনি পদক্ষেপও নেয়ার পরিকল্পনা আছে তার।
নবাব আলী হাসিব খান এখন দেশে নেই বলে জানা গেছে। নবাব আলী হাসিব খানের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস আলী খান মৌলভীবাজারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
নিউজবাংলার মৌলভীবাজার প্রতিনিধি খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত করেছেন যে, নবাব আলী হাসিব খান দুই দিন আগে দুবাই গেছেন। অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।