খুব শিগগিরই নতুন একটি সিরিজের শুটিং শুরু করতে যাছেন রেহানা মরিয়ম নূর খ্যাত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গুটি নামের সেই সিরিজটিতে ড্রাগ ডিলার সুলতানা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
নারী প্রধান চরিত্রকে কেন্দ্র করে নির্মিত হচ্ছে গুটি। যা নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘কাজটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। কতটা চ্যালেঞ্জিং সেটা আসলে দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে। আমি আসলে খুব খুশি আর কৃতজ্ঞ যে চরকি নারী চরিত্র প্রধান কাজ প্রডিউস করেছে।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি অরিজিনাল সিরিজ গুটি। এটি পরিচালনা করছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত।
চরকির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিরিজটির গল্প নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘গুটির গল্পটা শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। তিনি খুবই মেধাবী একজন নির্মাতা। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন।
‘এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে শঙ্খর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে আলাপ চলেছে। আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি।’
সিরিজটিতে নিজের লুকের বিবরণ দিয়ে বাঁধন বলেন, ‘ইভেন একদম প্রথমে আমার যে লুক টেস্ট হয়েছিল সেটার কস্টিউম পুরা আমি করেছিলাম। কী ওড়না পরব, কী রঙের কাপড় পরব, কোনটা পরলে একদম ওই ক্যারেক্টারের মতো লাগবে এগুলো নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে আমার ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’
গুটিতে ড্রাগ ডিলার সুলতানা লুকে অভিনেত্রী বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
কাজটি নিয়ে পুরো টিম নিয়মিত রিহাসসেল করেছেন বলেও জানান বাঁধন। তিনি বলেন, ‘সিরিজে কাস্টিং কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। আমরা সবাই নিয়মিত একসঙ্গে বসে রিহাসসেল করছি। রিহাসসেলটা প্রপার হলে শুটিংয়ে গিয়ে সবার কষ্ট অনেক কমে যায়।’
নারী প্রধান চরিত্র নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই কথাটা আসলে শুনতে চাই না। কারণ এই কথাটা আমি যখন শুনেছি তখন প্রচণ্ড হার্ট হয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে এই ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা আমাদের কাজ দিয়েই এই চিন্তার পরিবর্তন করতে পারব।’
গুটির শুটিংয়ে যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘কাজটার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের স্ক্রিপ্টের ৭ নম্বর ড্রাফট হয়েছে। এখন কাস্টিংদের নিয়ে প্রতিদিন রিডিং রিহাসসেল হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন রিয়েল লোকেশনে আমাদের সব শুটিং চলবে। আর আমরা যে যে অঞ্চলগুলোতে শুট করব সেখানকার লোকাল আর্টিস্টদের কাস্ট করা হয়েছে।
‘রিজিওনাল জায়গা থেকেও যেনো এর একটা আলাদা এক্সেপ্টেন্স তৈরি হয় সেটাও আমরা খেয়াল রাখছি। এখন টেকনিক্যালি কাজটাকে কতটা ডিভাইস করা যায় সেইদিকেই আমাদের সবার খেয়াল।’