দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রতিযোগিতা মিস অ্যান্ড মিসেস প্লাস বাংলাদেশ এর বিজয়ী তাবাসসুম পারিসা। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন।
বিজয়েরে মুকুট মাথায় ওঠার পর মঙ্গলবার তিনি এসেছিলেন তার প্রিয় ক্যাম্পাস কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ। সময় কাটিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। পারিসাকে কাছে পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আনন্দিত।
সবাই মিলে অনুভূতি ও অভিজ্ঞতার আদান প্রদান করেছেন একে অপরের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পারিসাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অফিস অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক আনুশা চৌধুরী।
আয়োজনে পারিসা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ ছিল স্থূলকায় নারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং এই লক্ষ্যেই আমি সামনে দিনে কাজ করে যাব।’
শারীরিক ওজনের কারণে নানা জায়গায় কীভাবে মেয়েরা কটাক্ষের শিকার হন এবং কীভাবে সেখান থেকে বেড়িয়ে নিজেকে ভালবাসতে শেখা সম্ভব, সেই মন্ত্রই পারিসা ছড়িয়ে দিতে চান বলে জানান কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের।
কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এমএইচ জহিরুল হক ও অফিস অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক আনুশা চৌধুরীর সঙ্গে পারিসা। ছবি: সংগৃহীত
১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চূড়ান্ত পর্ব। ২১ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হন তাসনিয়া তাবাসসুম পারিসা। এখন কাজ করছেন মেকআপ আর্টিস্ট ও লাইভ প্রমোটার হিসেবে।
সমাজে প্লাস সাইজ বা স্বাস্থ্যবান হলে প্রায় সব নারীকেই ছোট বেলা থেকেই নানা কটূ কথা শুনতে হয়। বড় হলেও সেটি অব্যাহত থাকে। তেমন কটূ কথা শুনতে হয়েছে পারিসাকেও।
মুকুট জয়ের পর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে পারিসা নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে যেহেতু মোটা ছিলাম মানুষের কথা শুনে বড় হয়েছি। কাছের মানুষরাই বলেছে, মজা করেই বলুক বা যেভাবেই বলুক, এ ধরনের কথা বলেছে যেমন, তুমি আস্তে বস চেয়ার তো ভেঙে যাবে। আমি যেহেতু নাচে ছিলাম, নাচতে গেলে বলতো যে, মা তুমি আস্তে নাচো স্টেজ ভেঙে যাবে। মা তুমি লাইনের পিছে চলে যাও, তোমার জন্য তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না।’
ছোটোবেলায় এসব কথা শুনে মন খারাপ হলেও বড় হয়ে এসব আর গায়ে মাখেননি পারিসা।
পারিসার ইচ্ছা কোরিওগ্রাফার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। কেউ যদি তাকে অভিনয়ের অফার করে এবং তিনি যদি সেটা পারেন, তাহলে অভিনয়টাও করার ইচ্ছা আছে বলে জানান মিস অ্যান্ড মিসেস প্লাস বাংলাদেশ তাসনিয়া তাবাসসুম পারিসা।