সুলতানা’স ড্রিমের প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন ফাতিহা তাইয়ারা স্পর্শ, মাহামুদা আক্তার মনীষা ও মনন মুনতাকা। রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
৬ মাসব্যাপী দীর্ঘ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের চিত্রনাট্য থেকে সেরা চিত্রনাট্য বাছাই করার জন্য একটি স্বতন্ত্র জুড়ি বোর্ড গঠন করা হয়। জুরিরা সর্বসম্মতিক্রমে তিনটি প্রজেক্টকে নির্মাণ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত দেন।
জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ছিলেন গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের পরিচালক ড. কার্স্টেন হ্যাকেনব্রোচ, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালেদ ঋতি, ফরাসি চলচ্চিত্র প্রযোজক ডমিনিক ওয়েলিনস্কি এবং এশিয়া ফাউন্ডেশন এর নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা, বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর জেন স্লোন।
সুলতানা’স ড্রিমের ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ আয়োজনের সহ-আয়োজক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ এবং পরিবেশনা সহযোগী গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছিল সুলতানা’স ড্রিম এর প্রথম উদ্যোগ ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’। এটি মূলত তরুণ নারীদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশিক্ষণ ও অনুদান আয়োজন। প্রায় শতাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১৬ জন তরুণ নারীদের নিয়ে দুইধাপে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজিত হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন দেশ ও বিদেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও একাডেমিকরা।
১ম ধাপে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ফরাসি চিত্রনাট্যকার ফিলিপ বাহরিয়ে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা তাসমিয়াহ্ আফরিন মৌ, মেহেদি হাসান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সম্পাদক চৈতালী সমাদ্দার, চলচ্চিত্র প্রযোজক আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ, পাকিস্তানের অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সিমাব গুল, পাকিস্তানের চলচ্চিত্র নির্মাতা সিয়াম সাদিক, ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রডাকশন ডিজাইনার জোনাকী ভট্টচার্য্য, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর মিনাক্ষি শেড্ডি, বাংলাদেশের শব্দ প্রকৌশলী নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন পলাশ এবং মনস্তাত্ত্বিক সৈয়দা ইফফাত হোসেন।
২য় ধাপে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা এলিজাবেথ ডি কস্তা, গবেষক ও নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দীনা সিদ্দিকী, চলচ্চিত্র সমালোচক, প্রোগ্রামার ও সাংবাদিক বেদাত্রি দত্ত চৌধুরী এবং মঞ্চ নির্দেশক ও নির্মাতা রিতু সাত্তার।