বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ ছিলেন ২০০ কোটি রুপি আত্মসাৎ মামলার আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখর। এমন কথাই বেবিয়ে এসেছে তদন্তে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুকেশকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এ নায়িকা।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার কর্মকর্তা রবীন্দ্র যাদব ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ধনদৌলত থাকায় বলিউড অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে পা দেন জ্যাকলিনও। নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন।
নিজেকে সুকেশের ‘কাছের মানুষ’ ভাবতে শুরু করেন অভিনেত্রী। সুকেশকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন তিনি।
রবীন্দ্রের ভাষ্যে, ‘এখানেই শেষ না, আরও বিপাকে পড়েছেন জ্যাকলিন। সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও সম্পর্ক ছিন্ন করেননি অভিনেত্রী।’
একই রকম ঘটনা ঘটতে পারত অভিনেত্রী নোরা ফতেহির সঙ্গে। কিন্তু তিনি কিছুটা সুরক্ষিত আছেন। এদিক-সেদিক দেখতেই সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেন নোরা।
সুকেশের সঙ্গে নোরার কখনও সামনাসামনি দেখাও হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে দুবার সুকেশের সঙ্গে কথা হয়েছিল নোরার। সম্প্রতি নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখা।
জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের প্রেমের সম্পর্কের কথা আগেই জানিয়েছিলেন সুকেশের আইনজীবী। পরে সুকেশ দাবি করেছিলেন, প্রেমজীবনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।