পৃথিবী বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, লাখো চলচ্চিত্রকর্মীর অনুপ্রেরণা জ্যঁ-লুক গদার জীবনাবসানে বেছে নিয়েছিলেন 'স্বেচ্ছামৃত্যু'। জীবনের পড়ন্ত বেলায় তিনি ছিলেন ক্লান্ত।
৯১ বছর বয়সে মঙ্গলবার মারা যান গদার। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি।
তবে কয়েক ঘণ্টা পর গদারের আইনজীবীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গদার স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন।
মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, গদার তার জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার আইনি কাউন্সিল, প্যাট্রিক জনারে বলেন, 'স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য গদার সুইজারল্যান্ডে যান। তিনি একাধিক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিলেন।'
অবশ্য গদারের স্ত্রী সুইস চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যানি-মারি এর আগে জানিয়েছিলেন, গদার তার বাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে মারা গেছেন।
ফ্রান্সের সংবাদপত্র 'লিবারেশন' নাম প্রকাশ না করে গদারের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গদার অসুস্থ ছিলেন না, তিনি ক্লান্ত ছিলেন। তিনি এই ক্লান্তির অবসান ঘটাতে চেয়েছিলেন।
নিজের জীবন শেষ করে দিতে আইনিভাবে অন্য কারও সাহায্য নেয়াটাই হলো স্বেচ্ছমৃত্যু। সুইজারল্যান্ডে এ ধরনের মৃত্যুর বৈধতা রয়েছে।
লিবারেশন পত্রিকা গদারের ২০১৪ সালের একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছে। সে বছর গদার কান চলচ্চিত্র উৎসবে সুইস টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'যেকোনো মূল্যে জীবনযাপন চালিয়ে যেতে চাই না আমি। যদি খুব অসুস্থ হই, হুইলচেয়ারে আটকে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই... মোটেই না।'
ফ্রান্সে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনি বৈধতা নেই৷ গদারের মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার নিয়ে জাতীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।